বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
প্রাথমিক শিক্ষা, ফাইল ছবি দেড় বছর পর সরকারের ঘোষণায় দেশব্যাপী খুলেছে স্কুল-কলেজ। এতে সারাদেশের ন্যায় প্রাণ ফিরেছে চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মুখরিত হয় দীর্ঘদিনের নির্জীব ক্যাম্পাস। অনেকদিন পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে হয়েছে প্রাণের সঞ্চার।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ঘুরে দেখা গেছে- সকাল থেকে পিঠে ব্যাগ, মুখে মাস্ক পড়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে। প্রবেশের সময় গেটে তাদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। এরপর তাদের হাত ধুয়ে ক্লাস রুমে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ক্লাসে বসানোর ক্ষেত্রেও একজন অপরজন থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখা হচ্ছে।
নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ইবতে শামুর রহমান বলেন, অনেক দিন অনলাইনে ক্লাস করেছি। আজ সশরীরে ক্লাস করছি। সবাইকে নিয়ে ক্লাস করায় খুব আনন্দ লাগছে। আশা করি আমরা এভাবে পড়ালেখা করতে পারবো।
তবে স্কুলের ভেতর বেশ কড়াকড়ি করা হলেও বাইরে অভিভাবকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুল এলাকায় অভিভাবকদের জটলা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
জানতে চাইলে অভিভাবক সানজিদা সোলতানা বলেন, বাচ্চা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। শহরে এতো ছোটো বাচ্চাকে তো একলা ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই সঙ্গে নিয়ে এসেছি। আমি বাইরে অপেক্ষায় আছি। ছেলে বের হলে এক সঙ্গে যাবো।
নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফরিদুল আলম বলেন, আজকে (রোববার) শুরুর দিনে এসএসসি ২০২১ ব্যাচ, এসএসসি ২০২২ ব্যাচ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস চলছে। শিডিউলভিত্তিক এভাবে প্রতিদিন ক্লাস চলবে। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে।
বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুহাম্মদ মাহমুদউল্লাহ মারুফ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মাস্ক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। স্কুলের একটি কক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এভাবে চলতে থাকবে।
অভিভাবকদের ভিড়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের বাইরে ভিড় না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কারণ, আগে সব ক্লাস একসঙ্গে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভিড় থাকতো। এখন আলাদা আলাদা হওয়ায় তেমন ভিড় নেই। তারপরও অনেক অভিভাবক সন্তানদের শঙ্কায় এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে প্রয়োজনে মাইকিংসহ প্রচারণা করা হবে।
ভয়েস/আআ