বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৫ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

কক্সবাজারের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি

॥মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল॥
কক্সবাজারে এখনও Community Transmission দেখা যায়নি। ইতোপূর্বে পজেটিভদের অধিকাংশেরই travel history আছে। যেমনঃ বিদেশ, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাতকানিয়া ও তাবলীগ ফেরত।
কক্সবাজারের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিজে নিজে অনেক ভাবলাম। আমার ভাবনায় নিশ্চয়ই ভুল থাকবে। কারণ আমি বিশেষজ্ঞ নই। কিন্তু জানার আগ্রহ আছে। গবেষণার আগ্রহও প্রবল। যদিও গবেষণার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমার বিষদ দক্ষতা নেই। কিন্তু নিজ থেকে প্রশ্ন উত্থাপন, পর্যবেক্ষণ, তথ্য যোগাড়, হাইপোথিসিস তৈরি ইত্যাদি নিজের মতো করে আগানোর চেষ্টা করেছি।
যদি কোন গবেষণা টিমের সাথে কাজ করার সুযোগ হত- হয়তো চমৎকার কিছু বুঝতাম। তবে কয়েকটি গবেষণায় আমার ক্ষুদ্র কন্ট্রিবিউশন আছে। যাই হোক, যেটুকু সক্ষমতা আছে, তা দিয়েই মোটামুটি একটি খসড়া দাঁড় করানোর চেষ্টা। বানানও চেক করার সুযোগ হচ্ছে না এখন।
লেখাটাও অসম্পূর্ণ। অভিজ্ঞরা পড়ে আমাকে যদি পথ দেখিয়ে দেন, ভাবনার ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাব নিশ্চয়ই। পরবর্তীতে হাইপোথিসিস যাচাই করে, উপাত্তগুলোকে বিশ্লেষণ করে, সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করবো। মোটামুটি একটা আগ্রহ থেকেই কক্সবাজারের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমার এই ভাবনা।
আমি কী কোন না কোন ভাবে করোনা সংক্রমিত হবো? কিংবা আমি কী করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পাবো? বর্তমান পরিস্থিতিতে এরকম চিন্তা মাথায় আসাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এমন প্রশ্নে যাওয়ার আগে ভাবতে হবে- কিভাবে পৃথিবী থেকে করোনা মহামারি নিঃশেষ হয়ে যাবে?
ধরে নিই- পৃথিবীতে এই মুহুর্তে যারা করোনায় আক্রান্ত আছেন, তারা যদি নতুন করে আর কেউকে সংক্রমিত না করেন। মানে কোয়ারিন্টিন কিংবা আইসোলেশনে থাকেন। এরপর আক্রান্তদের মধ্যে কিছু প্রাণহানীর পরও বাকিরা যদি সেরে উঠবেন। তাহলে করোনা মহামারী বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হবে না। কিন্তু এমনটি ভাবা এখন একেবারেই অসম্ভব।
করোনা যেহেতু অনেক সময় উপসর্গ প্রকাশ করেনা, কাজেই আমাদের শরীরে অনেক সময় ঘাপটি মেরে থাকে। তাই টেস্ট না করালে সুস্থ মানুষ রূপী আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মাঝে করোনা ছড়াতে থাকে। এই ধরণের ব্যাপারটিকে Community Transmission বলা হচ্ছে। মূলতঃ এই ধরণের সংক্রমণ এড়াতেই লকডাউন দেয়া হয়েছে।
আমি ঘরে থাকার মধ্যে দু’টো দিক আছে। প্রথমঃ আমি যদি সুস্থ থাকি, তাহলে অসুস্থ কারও সংস্পর্শে যাচ্ছিনা বলে সুস্থ থাকবো। দ্বিতীয়তঃ আমি যদি অসুস্থ হই, তাহলে সুস্থ মানুষের মাঝে সংক্রমণ ঘটাবো না। কিন্তু এভাবে কতদিন লকডাউনে থাকা যায়? এই হাঁড়ভাঙ্গা বিশ্রামের শেষ হবে কবে? আগে হাঁড়ভাঙ্গা ছিল পরিশ্রম। আর এখন বিশ্রামই যেন হাঁড়ভাঙ্গা।
করোনা ভাইরাস নিয়ে বিরামহীন গবেষণা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের ওয়েবসাইটে একটি গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, ‘হার্ড ইমিউনিটি’তে পৌঁছানোর আগেই জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ লোক সংক্রামিত হতে পারে।
সুইডেনের এপিডেমিওলজিস্টরা বলেছেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জনের জন্য মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষকে আক্রান্ত হতে হবে।
কিছু কিছু এপিডেমিওলজিস্ট হিসেব নিকেশ করে বের করেছেন সংখ্যাটি ৭০%। অর্থাৎ ৭০% মানুষের করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হয়ে গেলে ভাইরাসটি আর নতুন কাউকে সংক্রমিত করবে না।
গবেষকদের কথা অনুযায়ী তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, করোনা ভাইরাস মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ থেকে ৮২ শতাংশ মানুষকেই সংক্রমিত করার আশংকা রয়েছে। এরপর হয়তো এই মহামারীর বিদায় ঘটবে। সেক্ষেত্রে জনগোষ্ঠীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের তুলনামূলক একটু কম এবং যারা প্রবীণ তাদেরকে আইসোলেশনে রেখে তরুণ এবং শক্তিশালীদের মাঝে সংক্রমণ ঘটিয়েও করোনা ভাইরাসকে বিদায় জানানো যেতে পারে।
কিন্তু আমি কী এই ঝুঁকিটা নেব? যদি করোনার সাথে যুদ্ধ করে টিকে যাই, তাহলে তো নিশ্চয়ই ভালো। যদি হেরে যাই! আমি নাই হয়ে গেলাম- এরকম আমরা ভাবতেও চাই না। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে এটা কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ।
কেউ কেউ এই ঝুঁকি নিয়েছেনও। যেই সব দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, তারা হয়তো এরকম একটি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন। পরে কেউ কেউ আবার লকডাউনে আসতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও বা কেউ কেউ এমন ঝুঁকি নিয়ে কিছুটা সফলতাও পেয়েছেন। যেমনঃ সুইডেন। কিন্তু তাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব খুবই কম। লকডাউন ছাড়াই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার মতো অবস্থা। সুইডেনের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২৫ জন। সেখানে যেহেতু মানুষ কম, তাদের ভালো সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের চিকিৎসা দিয়ে সেরে তোলা যাচ্ছে। প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেয়া যাচ্ছে। অধিকাংশই ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করেই টিকে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন। আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৪০,০০০ জনেরও বেশি। কোথাও কোথাও ৭০,০০০ পর্যন্ত বাস করেন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে। কাজেই এখানে কেউ ইচ্ছা করলেও নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে পারার কথা নয়।
মোটামুটি মাথায় আসে- সুইডেনের সূত্র কক্সবাজারে তথা বাংলাদেশে আত্মঘাতি হতে পারে। তাই এখানে লকডাউনই কার্যকর হওয়ার কথা।
মানুষের মাঝে যাতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য ঘরে আবদ্ধ থাকা। যারা আক্রান্ত হবেন, সীমিত সক্ষমতা দিয়েও তাদের সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি সক্ষমতা বাড়ানো হবে। যেমনঃ কক্সবাজারে অনেক পরিসেবা বাড়ানো হচ্ছে। এমনকি ভেন্টিলেটর সুবিধাও দ্রুত চালু হতে যাচ্ছে। UNHCR সহ আন্তর্জাতিক দাতাদের অনেকেই এগিয়ে এসেছেন সেবা নিয়ে। কাজেই লকডাউনে থাকলে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
এছাড়া যারা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন তাদের শরীরে যে এন্টিবডি প্রস্তুত হচ্ছে, তা অন্যদের সুস্থ রাখতে কাজে লাগানো যেতে পারে। এটা অনেক সনাতন একটি পদ্ধতি। সনাতন এই কৌশলটি কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু দেশ সুফল পাচ্ছে বলেও শুনা গেছে। ভ্যাকসিন না আসলেও এভাবে যদি করোনা নিঃশেষ হয়ে যায়- তাহলে ব্যাপারটি স্বস্থিকর বৈকি।
আর যদি আমরা লকডাউন অমান্য করে ঘরের বাইরে চলে যাই; তাহলে আমরা ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবো। তখন আর লকডাউন কাজ করবে না। কারণ আমরা বাহিরে গিয়ে করোনা নিয়ে ঘরে ফিরবো। এরপর ঘরের অন্যদেরও সংক্রমিত করে দেবো। ততক্ষণে আর হাসপাতালগুলোতে আমাদের সেবা দেয়ার মতো হয়তো জায়গাও আর ফাঁকা থাকবে না। কবর খোঁড়ার জন্য হয়তো মানুষও পাওয়া যাবে না। তখন বিকল্প থাকবে ‘হার্ড ইমিউনিটি’।
লকডাউন হচ্ছে হার্ড ইমিউনিটিতে না যাওয়ার জন্য। যদি লকডাউন না মানি তাহলে হার্ড ইমিউনিটি। হার্ড ইমিউনিটি বুঝা সহজ। এগুলো বুঝার জন্য ডাক্তার হতে হবে এমন কোন কথা নেই। কিছুটা পড়াশুনা করলেই ধারণা অর্জন হবে। আমরা তো আর চিকিৎসা দিচ্ছিনা। আমরা একটা বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করছি। ভাবছি। চিন্তা করছি। উত্তরণের উপায় খোঁজার চেষ্টা করছি। নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। এতে আর কিছু না হলেও, অন্তত যদি হোম কোয়ারিন্টিন, লকডাউন পালন করার একটি মানসিকতা গড়ে তুলতে পারি– সেটাও বিশাল লাভ।
যদিও হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা। সংক্ষেপে যদি বলি- সোজা কথায় অধিকাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে যাওয়া। এপিডেমিওলজিস্টদের হিসেবে মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ থেকে ৮২ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হয়ে যাওয়া। এরপর যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নানা কারণে কম, তারা মারা যাবেন। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। অনেকেই টেরই পাওয়ার কথা না যে সংক্রমিত হয়েছেন। তারাই মূলতঃ অন্যদের মাঝে বেশি সংক্রমণ করে থাকবেন। কিছু সংখ্যক রোগে ভোগবেন, চিকিৎসা নেবেন, ভালো হয়ে যাবেন।
যদি ভ্যাকসিন থাকে, তাহলে সবাইকে ভ্যাকসিন দিয়ে সারিয়ে তোলা যায়। ভ্যাকসিন আবিস্কার মানেই কিন্তু মহামারীর বিদায়। কিন্তু ভ্যাকসিনহীন এই হার্ড ইমিউনিটিতেও কিছু মানুষ মারা যাওয়ার পর অধিকাংশের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে। তখন বাকি অল্প সংখ্যকের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি না হলেও রোগ ছড়ানোর সুযোগ এমন মাত্রায় একেবারেই কমে যেতে পারে। বলতে গেলে একেবারে জিরোতে নেমে আসবে। হার্ড ইমিউনিটি মোটামুটি এভাবেই সংঘটিত হতে পারে।
তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মতো ঘনবসতিতে, যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৭০ হাজার পর্যন্ত মানুষ বসবাস করে, সেখানে হার্ড ইমিউনিটি খুব ভয়াবহ হতে পারে। অতীতে হার্ড ইমিউনিটিতে কোন কোন সম্প্রদায়, গোষ্ঠী কিংবা পশুর পাল চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার উদাহরণও আমি পড়েছি কোন কোন গবেষণাপত্রে।
ছোটবেলায় মুরব্বীদের মুখেও শুনেছি- কলেরা, কালো জ্বরের মতো কিছু মহামারিতে গ্রামের পর গ্রাম মানুষশূণ্য হয়ে যাওয়ার কথা।
রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে কিংবা আমাদের কক্সবাজারের মতো ঘনবসতিতে হার্ড ইমিউনিটি কেমন হতে পারে তা আল্লাই ভালো জানেন। কিন্তু এ নিয়ে গবেষণা চলতেই পারে। আল্লাহ মানুষকে বুঝার তৌফিক দিয়েছেন।
একটা ভুল ভেঙ্গে নিই। অনেকেই বলছেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে করোনা ছড়াতে পারে। প্রথমতঃ রোহিঙ্গা ক্যাম্প করোনার উৎস নয়। দ্বিতীয়তঃ রোহিঙ্গাদের অনেক স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়েছে। সবগুলোই নেগেটিভ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাহির থেকে গিয়ে কেউ করোনা সংক্রমণ না ঘটালে মোটামুটি নিরাপদ বলা যায়। কিন্তু একবার যদি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মতো ঘনবসতিতে সংক্রমণ ঘটে, যেখানে social distancing (যা এখন ১২-১৪ ফিট্কে নিরাপদ বলা হচ্ছে) রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। তাই বিকল্প Herd Immunity এর জন্য অপেক্ষা; যাতে অনেক প্রাণহানির শংকা থেকে যায়। চট্টগ্রামের ভাষায় বলতে গেলে, “যে মরি যে থায়”।
না। শুধু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে করে খুশি হওয়ার কারণ নেই। জেলাব্যাপীই ছড়িয়ে পড়ার আশংকা। এমনকি আমাদের ঘরেও।
এখন সিদ্ধান্ত আমাদের হাতে। আমি কী করোনা সংক্রমিত হবো? নাকি ঘরে থাকবো? নাকি হার্ড ইমিউনিটি ঘটাবো?
লকডাউন কতটুকু সফল কক্সবাজারে তথা বাংলাদেশে- তা সাদা চোখেও দেখা যাচ্ছে। তবে লকডাউনের ফলে অনেক মানুষ যে সংক্রমণের হাত থেকে বেঁচে গেছেন তা নিশ্চিত প্রতীয়মান হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বৈশিষ্ট্য ধরে হিসেব কষলে আরও কতো মানুষ আক্রান্ত হতে পারতো তা সহজেই বেরিয়ে আসে।
মানুষের লক ডাউন মেনে চলার সক্ষমতা কতোদিন থাকবে- সেটা অনেক বড় প্রশ্ন। এমনকি রাষ্ট্রের পক্ষেও কতদিন লকডাউন বহাল রাখা সম্ভব- তা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কেবল দেশের অর্থনীতি নয়, আরও অনেক কিছুও নির্ভর করছে লকডাউনের উপর।
এখনও লকডাউনের উপর অটুট থাকা আমাদের জন্য জরুরী। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, এবং চাহিদা সম্পন্নদের সহায়তা দিলে লকডাউন দীর্ঘতর করার সুযোগ থাকে।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে যেসব প্রণোদনা এবং পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেগুলোর সচ্ছতা নিশ্চিত হলেও লকডাউনে মানুষ খুব বেশি কষ্ট পাবে না।
সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসু হবে ধনীদের নিরবে এগিয়ে আসা। বিশেষ করে পাশের মানুষটি না খেয়ে আছেন কিনা তার খবর নেয়া।
কক্সবাজারে না হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণের জন্য মানুষের রাস্তায় নামার ঘটনা লকডাউনের জন্য তো বটেই; রাষ্ট্রের জন্যও বড় সিগন্যাল।

লেখক-সাংবাদিক, ভয়েস অব আমেরিকা ও এটিএন বাংলা।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION