মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সামুদ্রিক শৈবাল সুনীল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ রাখছে-সেমিনারে বক্তারা

ভয়েস প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে উৎপাদিত শৈবাল দেশের সুনীল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক শৈবাল নিরাপাদ খাদ্যের অনন্য উৎস, সামুদ্রিক শৈবাল স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি জলজ উদ্ভিদ।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফ এ ও) ও কৃষি মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে কক্সবাজারের একটি তারকামানের হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠিত এক কর্মশালা এসব তথ্য তোলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ন সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রুহুল আমিন তালুকদার, জাতীসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রধান রবার্ট ডি সিম্পসন. অনুষ্ঠানের প্রথমপর্বে বিশেষ অতিথিহিসেবে উপস্থিতছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রচারণ বিভাগের পরিচালক মোঃ মামুনুর রশিদ, এস এম মহিবুল্লাহ, পরিচালক, মৎস অধিদপ্তর, জি এম এ গফুর।

অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিষয়বস্তু ও অগ্রগতি সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফ এ ও এর ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট প্রফেসর ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন, ডীন ফিশারিজ, একোয়াকালচার ও মেরিন সাইন্স অনুষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয় এবং উত্তম খাবার হিসেবে প্রতিদিন গ্রহন করা হয়।
বাংলাদেশের সমুদ্র উপকুলে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে ৬-৮ প্রজাতি বানিজিন্যক ভাবে চাষে করা সম্ভব। বর্তমানে লাল সামুদ্রিক শৈবাল বা সমুদ্র সেমাই বানিজ্যক ভাবে চাষ করা হচ্ছে।

উক্ত প্রকল্পের আওতায় ১২০ জন চাষীকে  সামুদ্রিক শৈবাল চাষ, প্রক্রিয়াজাত করণ ও বাজারজাত করনের উপর, ৪০ জন উদ্যোগক্তাকে সামুদ্রিক শৈবাল হতে বিভিন্ন খাদ্য তৈরির পদ্ধতির উপর এবং ২০ জন নারীকে সামুদ্রিক শৈবাল হতে প্রসাধনি সামগ্রি তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় উপকুলের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনি প্লট তৈরি করে চাষীদের  চাষ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়।

রবার্ট ডি সিম্পসন ” সামুদ্রিক শৈবাল সমুদ্রের এক মূল্যবান সম্পদ, যা বিভিন্ন ভাবে খাদ্য হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার হতে পারে। যা থেকে বিভিন্ন ধরণের ঔষধ, প্রসাধনি সামগ্রি, সার, বায়োফুয়েল সহ অরো অনেক কিছু তৈরি করা যায়।”
বিশ্বের প্রায় ৩৩ বিলিয়ণ টনের বেশি সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করা হয় যার বাজার মূল্য প্রায় ১১.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

বক্তারা আরও বলেন,সামুদ্রিক শৈবাল সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যান্ত উপকারী একটি উদ্ভিদ, যা সমুদ্রে প্রাথমিক উৎপাদনশিলতা তৈরিতে সাহায্য করে এবং সমুদ্রের প্রানীর আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশেষ অতিথিহিসেবে উপস্থিত থেকে সামুদ্রিক শৈবালের খাদ্য মেলা উদ্ধোধন করেন কক্্রবাজার মিনিসিপিলিটির মেয়র জনাব মুজিবুর রহমান। এরপর তিনি সামুদ্রিক শৈবালের খাদ্য বিগননের জন্য সাস্থসম্মত খাদ্যতৈরির জন্য ২৫ টি ফুড-কার্ট বিতরন করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে মৎস অধিদপ্তরের পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের বিজ্ঞানিগণ, বাংলাদেশ ফিসারিজ রিসার্স ইনিষ্টিটিউটের বিজ্ঞানিগণ উপস্থিত ছিলেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION