বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরি ব্যস্ত রয়েছেন বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়ে। সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বললেন।
যেমন চলছে সময়?
ভালোই চলছে। আর বেশ কিছু সিনেমায় তো প্রস্তুত রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। আবার নতুন সিনেমার প্রস্তাবও আসছে। সব মিলিয়ে ভালো কিছুর জন্য অপেক্ষা করছি।
‘শান’ প্রসঙ্গে…
সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে আবারও পিছিয়ে গেল। দিন যত যাচ্ছে ততই প্রত্যাশা বেড়ে যাচ্ছে। শুরু থেকেই দর্শকেরা আশায় ছিলেন কবে নাগাদ মুক্তি পাবে শান। এর আগে রোজার ঈদে মুক্তির কথা থাকলেও তখন মুক্তি পায়নি। আমিও দর্শকদের সঙ্গে প্রত্যাশায় আছি, এই ছবিটা ভালো করবে।
শান সিনেমায় যুক্ত হওয়ার গল্প জানতে চাই….
সিয়াম-পূজার ‘দহনে’র অনেক দিন পর আবার ‘শান’ সিনেমা করলাম। এই গল্পটা বারবার শুনেছি। এখানে রিয়া চরিত্রে আমি কাজ করেছি। একটা চঞ্চল, সুইট একটা চরিত্র। এ্ ধরনের চরিত্র আমার ভালো লাগে। আর এ ধরনের চরিত্রে এর আগে আমি কাজ করি নাই। সব মিলিয়ে আমার মনে হয়েছে সিয়াম পূজার জন্য এটা একটা পারফেক্ট সিনেমা। তাই সিনেমাটি করা।
পরিচালকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
রাহিম ভাই অনেক ভালো একজন ডিরেক্টর। এর আগে ‘অগ্নি’ সিনেমায় আমি শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছি। সেখানে তিনি সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ‘নূরজাহান’ সিনেমাতেও তিনি চিফ সহকারী ছিলেন। পোড়ামন টুতেও তিনি সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ফলে ওনার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অনেক আগে থেকেই। ফলে যখন শুনেছি যে রাহিম ভাই ডিরেক্টর হচ্ছেন তখন খুব ভালো লেগেছে, যে একজন অভিজ্ঞ মানুষকে পরিচালক বানানো হয়েছে।
সিনেমাটি কেন দেখতে যাবে দর্শক?
বাংলাদেশি হিসেবে বাংলাদেশি সিনেমা দেখবে মানুষ। এখানে রোমান্স, অ্যাকশন থেকে সবকিছুই আছে। মানে এটা একদম মাসালা একটা ফিল্ম। সে কারণেই এই সিনেমাটি মানুষ দেখতে যাবে।
সিয়ামের সঙ্গে জুটি কেমন উপভোগ করছেন?
‘পোড়ামন’ টু দেখার পর থেকে মনে হয় আমাদের জুটিকে দর্শকদের ভালো লেগেছে। সে কারণেই হয়তো দর্শক আমাদের জুটিকে পিক করেছে। কেন করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। আমার মনে হয় আমাদের ভাগ্যই আমাদের দর্শকদের সামনে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।
ইস্পাহানি আরিফ জাহানের হৃদিতায় যে পূজাকে দেখবে দর্শক?
আমার কাছে মনে হয়েছে হৃদিতা মেয়েটা শান্ত স্বভাবের হলেও চঞ্চল। খুবই সফট একটা মেয়ে। দেখলেই মনে হবে পাশের বাসার একটা সুন্দর মেয়ে। যদিও আমি সুন্দর না। মেকাপ দিয়ে সুন্দর হওয়ার চেষ্টা করি (হাসি)। তো আমি ওইভাবেই চিন্তা করে অ্যাক্টিং করার চেষ্টা করেছি। শ্যুটিং শেষে আমাদের ডিরেক্টর এতটাই খুশি যে উনি চান ওনার পরবর্তী কাজও আমি করি। সব মিলিয়ে পরিচালকের কথা শুনে মনে হচ্ছে তারা সন্তুষ্ট।
গলুইয়ে আপনার চরিত্র নিয়ে জানতে চাই
এই ছবিতে আমার চরিত্রের নাম মালা। মেয়েটা অভিজাত পরিবারের একটা মেয়ে। মেয়েটা খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেয়ে। এতে আমার বিপরীতে আছেন শাকিব খান। এই চরিত্রের জন্য যখন এসএ হক অলিক ভাই আমাকে প্রথম দেখেন তখন আমি অনেক শুকনো ছিলাম। উনি তখন বললেন, তুমি যদি একটু ওজন বাড়াও তাহলে তোমাকে আরও সুন্দর লাগবে। তবে কতটুকু ওজন বাড়াতে হবে তা বলেননি, শুধু বলেছেন যতটুকু ওজন বাড়ালে আরও সুন্দর লাগবে ততটুকু বাড়াতে। আমার মনে হয় ৫০ কেজি থেকে ৫৪/৫৫ কেজি হয়েছি। মানে এই চরিত্রের জন্য প্রায় ৪/৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছি।
ভয়েস/আআ