মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

কয়েকটি নিষিদ্ধ কাজ

মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম:
এমন কিছু নিষিদ্ধ কাজ রয়েছে, কোরআন-হাদিসে নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে ঠিকই; অথচ তা হারাম ও কবিরা গোনাহ হওয়ার ব্যাপারটি সুস্পষ্ট নয়। তবে তা হারামও হতে পারে কিংবা মাকরুহ্ বা অপছন্দনীয়ও। এমতাবস্থায় একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, এসব কর্মকাণ্ড পরিহার করা। চাই তা হারাম হোক অথবা মাকরুহ্। ইসলামের শিক্ষা ছিল, কোনো মানুষ মাকরুহ্ কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, ধীরে ধীরে তাকে হারাম কাজ করতে উৎসাহী করে। তখন শুধু একটি হারাম নয় বরং অনেক হারাম কাজ করা তার গায়ে বাধে না। এছাড়া মাকরুহ্ কাজ থেকে বেঁচে থাকা সওয়াব অর্জনের এক বিশেষ মাধ্যম। এখানে এমন নিষিদ্ধ কিছু কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

কোনো মুসলিমকে আতঙ্কিত করা : হজরত আবদুর রহমান বিন্ আবু লাইলা (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবারা আমাকে বর্ণনা করেছেন, একদা তারা নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে সফরে ছিলেন। ইতিমধ্যে জনৈক ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়লে জনৈক সাহাবি তার সঙ্গে থাকা একটি রশি টান দিলে সে ভয় পেয়ে যায়। তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘কোনো মুসলমানের জন্য হালাল নয়, তার অন্য কোনো মুসলমান ভাইকে যেকোনোভাবে আতঙ্কিত করা।’ সুনানে আবু দাউদ : ৫০০৪

অন্যের সম্পদ ভোগ-দখল : হানিফা রাক্বাশি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলমানের মনোসন্তুষ্টি ছাড়া তার সম্পদ অন্যের জন্য কোনোভাবেই হালাল নয়।’ সহিহুল জামে : ৭৬৬২

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু সাঈদ্ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমি আল্লাহর সঙ্গে এমতাবস্থায় সাক্ষাৎ করতে চাই যে, অথচ আমাকে ইতিপূর্বে কারও সম্পদের কিয়দংশ তার মনোসন্তুষ্টি ছাড়া দেওয়া হয়নি। বেচা-বিক্রি তো নিশ্চয়ই উভয়পক্ষের সন্তুষ্টির ভিত্তিতেই হতে হবে।’ ইরওয়াউল গালিল : ১২৮৩

মেহমানদারি নিয়ে প্রতিযোগিতা : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষকে দেখানো কিংবা গর্বের বশবর্তী হয়ে মেহমানদারি নিয়ে প্রতিযোগিতাকারী দ্বয়ের দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে না। এমনকি তাদের খানাও খাওয়া যাবে না। সহিহুল জামে : ৬৬৭১

নিজ ঘরে নফল না পড়া : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নিজেদের ঘরগুলোকে কবর বানিও না। বরং তোমরা তাতে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া ইত্যাদি করো এবং আমার কবরকে মেলা বানিও না। তাতে বারবার নির্দিষ্ট সময়ে আসার অভ্যাস করো না। বরং তোমরা সর্বদা আমার ওপর সালাত ও সালাম পাঠিও। কারণ, তোমাদের সালাত ও সালাম আমার কাছে অবশ্যই পৌঁছাবে। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন।’ আবু দাউদ : ২০৪২

রাতে রাস্তা-ঘাটে অবস্থান : হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রাত্রি বেলায় রাস্তার মধ্যভাগে অবস্থান করা ও তাতে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকো। কারণ, তা হচ্ছে সাপ ও হিংস্র প্রাণীদের থাকার ঠিকানা। তেমনিভাবে তোমরা রাস্তা-ঘাটে মল-মূত্র ত্যাগ করা থেকেও বিরত থাকো। কেননা, তাতে মল-মূত্র ত্যাগ করা অভিসম্পাতের কারণ।’ সহিহুল জামে : ২৬৭৩

আগুন, পানি ও ঘাস নিতে বাধা দেওয়া : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তিনটি জিনিস নিয়ে যেতে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। সে জিনিসগুলো হচ্ছে পানি, ঘাস ও আগুন।’ সহিহুল জামে : ৩০৪৮

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION