রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রোজা সৌভাগ্য বয়ে আনে

জহির উদ্দিন বাবর:
পবিত্র রমজান মাস পাওয়া মুমিনজীবনে অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে সেটা তখনই সৌভাগ্যের হবে, যখন এই রমজানের অর্জন পুরোপুরি নিশ্চিত করা যাবে। এই মাসের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। এজন্য রোজাদারের প্রতিটি মুহূর্তই ইবাদত বলে গণ্য হয়। রোজা অবস্থায় অন্য ইবাদত করলে বাড়তি সওয়াব মিলে। যেহেতু এই মাসের প্রতিটি ইবাদতে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়ার কথা হাদিসে উল্লেখ আছে এজন্য প্রতিটি সেকেন্ড ইবাদতে লাগানো উচিত।

রমজানে তওবার গুরুত্ব অনেক বেশি। এই মাসের তওবা সহজেই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। আমাদের জীবনে যে শুদ্ধতা ও শুভ্রতার আবহ নিয়ে রমজান এসেছে, তাতে তওবার মাধ্যমে জীবন আলোকিত করার সুযোগ সবার গ্রহণ করা উচিত। রমজানে তওবা করে তার ওপর টিকে থাকা যত সহজ তা আর কখনো সম্ভব না। এই মাসে চলতে-ফিরতে সংঘটিত নানা ধরনের পাপের জন্য আল্লাহর কাছে আমরা দিন শেষে অথবা গোনাহ হয়ে যাওয়া মাত্রই ইস্তেগফার করতে পারি। মুমিনের জীবনে অত্যন্ত সৌভাগ্যপূর্ণ নেয়ামত হচ্ছে আন্তরিক ইস্তেগফারের অভ্যাস। রমজানে এই আমলটি আমরা শুরু করতে পারি।

বান্দা যখন তার নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে, তার কাছে মাগফিরাত তলব করেএটা আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কোরআনের বিভিন্ন স্থানে দোয়া কীভাবে করতে হবে এর পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বান্দার আহ্বানে সাড়া দেবেন বলে কোরআনে ওয়াদা করেছেন‘হে বান্দারা! তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ সুরা মুমিন : ৬০

বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে ডাকলে আল্লাহ বান্দার ডাকে বেশি সাড়া দেন বলেও হাদিসে উল্লেখ আছে। পবিত্র রমজানে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। অনেকগুলো মুহূর্ত আছে যখন দোয়া করলে তা কবুলের নিশ্চয়তা অনেক বেশি। যেমন ইফতারের সময় দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার অনেকটা নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে হাদিসে। তারাবি, তাহাজ্জুদ, সাহরিতে সবসময়ই দোয়া কবুলের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কেউ যখন রোজা অবস্থায় আল্লাহর দরবারে হাত তোলেন তখন আল্লাহর রহমত তার দিকে ধাবিত হয়। তার মনের আকুতি আল্লাহর কাছে সহজেই গ্রহণ হয়।

রমজানে চারটি আমল বেশি বেশি করার কথা হাদিসে উল্লেখ আছে। সেগুলো হলো কালেমা পাঠ, ইস্তেগফার করা, জান্নাত লাভের প্রত্যাশা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য প্রার্থনা করা। আমরা আমাদের অপরাধের কারণে আল্লাহর দরবারে ধরা পড়ে গেলে কোনো উপায় নেই। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে যেন আমি ধরা না পড়ি সেই আকুতি রমজানে বেশি বেশি জানাতে হবে।

লেখক: আলেম ও ধর্মীয় নিবন্ধকার

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION