মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

শিক্ষকরা গুজব ছড়ালে শাস্তি পাবেন কর্মকর্তারাও

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ালে নিয়ন্ত্রণাধীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। গুজব ছড়ানো বন্ধে ব্যর্থ হলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পবিত্র রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর নামে মিথ্যা বক্তব্য’ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টির কারণে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের গুজব সৃষ্টি বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যদি অধিদফতর থেকে শিক্ষকদের মনিটরিং করতে পারি তাহলে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা শিক্ষকদের মনিটরিং করতে পারবেন না কেন? যদি কেউ ব্যর্থ হন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মিটিং করে কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কোডিড-১৯ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম ২০ রমজান পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর গত ২৪ মার্চ এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে জারি করে।

রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করানোর বিরোধিতা করে কিছু শিক্ষক ফেসবুকে পোস্ট দেন। এক পর্যায়ে গুজব ছড়ায় ফেসবুকে। অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর সদর উপজেলার গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ গত ২৯ মার্চ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হাজার স্যালুট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। অবশেষে প্রথম রোজা থেকেই দেশের সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিলেন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’।

অন্যদিকে মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিল্পা রানী সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এই মর্মে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যে, ‘অবশেষে প্রথম রোজা থেকেই সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

ফেসবুকে এ পোস্টের কারণে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরেকজন প্রধান শিক্ষককেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে গুজব সৃষ্টি করা হয়েছে। এই গুজব সৃষ্টিতে শিক্ষকরা জড়িত। এটি শিক্ষকদের কাজ নয়। অ্যাকাডেমিক বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা প্রাথমিক শিক্ষকদের কাজ নয়। সংশ্লিষ্টদের সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। আমরা চাই না শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION