সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেশের সব সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন কয়েকজন আইনজীবী।
সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না পাওয়া সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে শনিবার জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী একেএম এহসানুর রহমান, এএম জামিউল হক ফয়সাল, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
ই-মেইলে পাঠানো এই আবেদনে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরত দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের আর্জির পাশাপাশি এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে এর ওপর শুনানি হতে পারে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান, অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল।
১১ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নন-কভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয় দেশের হাসপাতালগুলোকে। আইনজীবীরা জানান, করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। এমনকি চিকিৎসা না পেয়ে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই নির্দেশনা অমান্য করলে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে হাসপাতাল-ক্লিনিক সাধারণ রোগীদের করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ভর্তি নিচ্ছে না। একটি করোনা টেস্ট করাতে রোগীর জন্য চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। অথচ গুরুতর অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে টেস্ট করানো এবং সে প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা অসম্ভব। তাই প্রতিদিনই চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে।
ভয়েস/ আআ