রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

এইচএসসি পরীক্ষায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনিশ্চিয়তা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বাড়ল ৬ আগস্ট পর্যন্ত। সোমবারের এই ঘোষণার কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বা এইচএসসি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ল।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন টানা বন্ধের ঘটনা আর ঘটেনি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সেপ্টেম্বর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পরীক্ষা না হওয়ায় কবে নাগাদ এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারবেন, তাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার থেকে একটি বছর হারিয়ে যাবে কি-না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, “ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তাটা হলো পরিস্থিতির যখন উন্নতি হবে, স্বাভাবিকের দিকে আসবে, তখন আমর তারিখটা ঘোষণা করবো। তখন পরীক্ষাটা নেবো।”

বন্ধের নতুন মেয়াদ ধরলে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, পরীক্ষা অনুষ্ঠান, ফলাফল প্রকাশ হতে হতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস লেগে যেতে পারে। তার কিছুদিন পরে আরেকটি এইচএসসি পরীক্ষার সময় চলে আসবে। সেক্ষেত্রে কী করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলছেন, এখনই তারা এ বিষয়ে আগাম বলতে চান না।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আপাতত সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে তখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, তার ওপরে।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সেশনে ভর্তি কার্যক্রম সাধারণত সেপ্টেম্বর নাগাদ শুরু হলেও চলতি বছর কবে হবে, তা কারো জানা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, “সব কিছুই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, এটাই বাস্তবতা। শুধু ভর্তি নয়, আমাদের গ্রাজুয়েশন কার্যক্রমও প্রলম্বিত হবে। ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত এর মধ্যেই আমরা নিয়ে রেখেছি। এখন আমরা অপেক্ষা করছি পরিস্থিতি দেখার জন্য যে, আগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ পরিস্থিতি কেমন হয়।”

আরও জানান, এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হলে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।

তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এই জটিলতা একটু কম। তারা বছরে তিনটি সেমিস্টারে ছাত্র ভর্তি করে থাকে। ফলে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পর তারা যেকোনো সময়েই ভর্তি করতে পারবে। তবে এই সময়সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভর্তি সময় বদলে নিতে হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন বা ক্যাম্পের শীর্ষ কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “এইচএসসি একটা বড় পরীক্ষা। সেটা পিছিয়ে গেলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। বিকল্প কী হতে পারে, পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে কী করবেন, সেটা, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সমাধান বের করতে হবে। অনেক দেশে আগের ক্লাস পরীক্ষার মার্কিং বা গ্রেডের ফলাফলের ভিত্তিকে এভারেজ রেজাল্ট ঠিক করে দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেটাও একটা বিকল্প ভাবা যেতে পারে।”

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শিক্ষা ব্যাহত হওয়ায় অটো প্রমোশন হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয়েছিলেন, তারা একটা সেশন জটে পড়লেও পরবর্তী এক-দুই বছরের মধ্যে সেটার সমাধান হয়েছিল— এমনটাও জানান তিনি।এবার এইচএসসি’তে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানালেন, এই অনিশ্চিত পরিস্থিতির চাপ তাদের প্রস্তুতিতেও পড়েছে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION