শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আদালত প্রাঙ্গণে এজলাস কক্ষে হামলা: একজনের রিমান্ড ও দুইজনকে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে দলবদ্ধভাবে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো: সাজ্জাত (২২) এর বিরুদ্ধে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুই ও তিন নং আসামির জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টারদিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সদর) বিচারক আবুল মনসুর এ আদেশ দেন।

রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত আসামি মো: সাজ্জাত কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মৃত উমর আলীর ছেলে। জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মৃত উমর আলীর ছেলে মো: জাহেদ আলী (৩০) ও একই এলাকার আমির হামজার পুত্র আরিফুল্লাহ (২৪)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ ইফতেখার মাহমুদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ১জনের ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সাথে অন্য দুই আসামিকে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

গত বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসা আসামীর উপর হামলা চালায় অন্তত ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এসময় এজলাস কক্ষেও হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করলেও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর কোর্টের সিএসআই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় রাতে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটক ৩ জন সহ ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

মামলার বাদি কক্সবাজার সদর কোর্ট পুলিশের এসআই মজিবুর রহমান মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২৭ জুলাই সকাল ১০টারদিকে দু’জন লোক আকস্মিকভাবে দৌড়ে এসে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষে আশ্রয় নেয়। পরে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী লোক লাঠি-সোটা, ইট পাটকেল ইত্যাদি সহ সজ্জিত হয়ে আকস্মিকভাবে দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে আদালতের এজলাস কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা এজলাস কক্ষে আগত বিচারপ্রার্থী লোকজনের মধ্যে ভয়ানক আতংক, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। হামলাকারিরা বিক্ষিপ্তভাবে ভাংচুর শুরু করে এবং কোর্ট এলাকার নির্মাণাধীন ভবনের ইট, পাথর নিয়া এলোপাতাড়ি ইট ও তাদের পরিহিত জুতা এজলাস কক্ষের ভিতরে আশ্রয়ে থাকা লোকদের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করে। এসময় আদালতে দায়িত্বরত কোর্ট পুলিশ সদস্যসহ আদালতের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। কিন্তু, তারা কোন কিছুই পরোয়া না করে এজলাস কক্ষের দরজা ভাংচুরের চেষ্টাসহ ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় এজলাস কক্ষে আশ্রয় নেওয়া উক্ত দু’ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপুরি ইটের টুকরা নিক্ষেপ করলে তা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. নজরুল ইসলাম খাঁন এর মাথা ঘেঁষে চলে যায় এবং এতে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। পরে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি কোর্ট ইন্সপেররকে অবহিত করার পাশাপাশি সদর মডেল থানাকেও অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার এসআই এস.এম.এম আতিকুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স সহকারে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং আসামীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় মোঃ সাজ্জাত, মোঃ জাহেদ আলী ও আরিফুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের গ্রেফতারের পর উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল হতে একটি কাঠের লাঠি, স্যান্ডেল, কংক্রিটের ঢালাই আলামত হিসাবে তালিকামূলে জব্দ করেন। গ্রেফতার আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে করলে উক্ত মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। যা (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ এর ৪/৫ অপরাধ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION