মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএএফ) কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিতে বাংলাদেশ সরকার আইএমএফের মিশনের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চেয়েছে। সফররত আইএমএফ মিশনের বিবৃতিতে এর উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় বলা হয়েছে। তবে বিবৃতিতে আইএমএফের ‘শর্ত’ হিসেবে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের এসব পদক্ষেপ বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে, অর্থনীতিতে ঝুঁকির মাত্রা কমাবে এবং অতি প্রয়োজনীয় সামাজিক, উন্নয়ন এবং জলবায়ু ব্যয় মেটানোর মাধ্যমে অর্ন্তভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে প্রধান পাঁচটি বিষয়ে সংস্কারে সম্মত হয়েছে সরকার। এগুলো হলো- বাড়তি আর্থিক সংস্থানের জায়গা তৈরি করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রানীতি কাঠামোর আধুনিকায়ন, আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণ, প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ত্বরান্বিত করা এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলা।
এতে বলা হয়েছে, বাড়তি আর্থিক সংস্থানের জন্য উচ্চ রাজস্ব আহরণ এবং ব্যয় যৌক্তিকীকরণ করা হবে, যা প্রবৃদ্ধি-সহায়ক খরচ বাড়াতে সহায়ক হবে। অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের ওপর প্রভাব মোকাবিলায় উচ্চ সামাজিক ব্যয় করা হবে এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি অধিকতর লক্ষ্যনির্দিষ্ট হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতির দিকেই দৃষ্টি দিয়ে বাস্তবায়িত হবে। মুদ্রার বিনিময় হার অধিকতর উন্মুক্ত করলে বহিস্থ: অভিঘাত মোকাবিলায় সহায়ক হবে মনে করছে আইএমএফ। এছাড়া আর্থিক খাতের দুর্বলতা কমাতে তদারকি, সুশাসন এবং রেগুলেটরি কাঠামো জোরদার করা হবে। ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশের উন্নতি করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বড় ধরণের বিনিয়োগ এবং বাড়তি অর্থায়ন যোগাড় করা হবে।
ভয়েস/জেইউ।