মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
২০২২ সালটা নিজের করে নিয়েছেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ‘পরাণ’ ছবির মাধ্যমে দর্শকরা নতুন এক মিমকে চিনেছেন। ছবিতে মিমের সঙ্গে শরিফুল রাজের রসায়ন দারুণ সাড়া ফেলে। এরপর ‘দামাল’ সিনেমাতেও তারা দর্শকের মন জয় করেন। এই জনপ্রিয়তাকে অন্য নির্মাতারা কাজে লাগাতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। এরই মধ্যে বেশ ক’জন নির্মাতা তাদের জুটি করে কাজের পরিকল্পনা করে। কোনো কোনো নির্মাতা তাদের সঙ্গে কাজ নিয়ে কথাও বলেন। তাদের মধ্যে একজন নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল। তিনি তার নতুন সিনেমা ‘পথে হলো দেখা’র জন্য প্রথমে বিদ্যা সিনহা মিমকে প্রস্তাব দেন। ছবিটির গল্প ও চরিত্র খুব পছন্দ হয় মিমের। তিনি কাজটি করতে রাজি হন। এরপর নির্মাতা নায়ক হিসেবে শরিফুল রাজের কাছেই যান। কিন্তু রাজ ছবিটি করবেন না বলে জানান। এর পেছনের কারণ এতদিনে সবাই জানেন। রাজের স্ত্রী আলোচিত নায়িকা পরীমণি চান না রাজ আর মিমের সঙ্গে মেলামেশা করুক। তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলেও পরী দাবি করেন। নতুন খবর হলো, ছবিটি এখন রাজ করতে রাজি হয়েছেন। তবে শেষ দানটা মারলেন মিমই। তিনিই এখন আর ছবিটি করতে চান না। এমনকি আর কখনোই রাজের সঙ্গে কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন! ছবি হাতছাড়া হওয়ার সঙ্গে দানমারার সম্পর্ক হয়তো নেই, কিন্তু আত্মসম্মানবোধ বলেও তো একটা বিষয় আছে। যেটি একজন মানুষ তথা শিল্পীকে তার ভক্তদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় করে তুলতে পারে। মিম আত্মসম্মানবোধের পরিচয় দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের পেছনে কিছু ঘটনা আছে, যা ইতিমধ্যে সবারই জানা। রাজের পরিবারের পক্ষ থেকে যে কথাগুলো ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে মর্মাহত করেছে। ওর সঙ্গে নতুন কোনো ছবি করতে গেলে তার পরিবার থেকে হয়তো আরও ভয়ংকর কিছু ছড়ানো হতে পারে। তাতে আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মান ক্ষুন্ন হবে। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আবারও হেয় হতে পারি, যা আমার ইমেজের সঙ্গে যায় না। তাই ভেবেচিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমি চাই রাজ ও পরীমণি ভালো থাকুক। তাদের সংসার ভালো কাটুক। তাদের মাঝখানে এভাবে যেন আমাকে আর টেনে না আনা হয়।’
এর আগেও এই নায়িকার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। সিনেমা ক্যারিয়ার শুরুর এক বছর পর ২০০৯ সালে তিনি ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবিতে অভিনয় করে বাজিমাত করেন। ব্যবসাসফল এই ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হার্টবিট প্রডাকশন পরের ছবি ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’তেও মিমকে চূড়ান্ত করে। তিন লাখ টাকা দিয়ে চুক্তিও করায় তারা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার তাপসী ফারুক তখন জানিয়েছিলেন, মিম ও শাকিবকে নিয়ে পরে আরও পাঁচটি ছবি নির্মাণ করবেন। ছবির শ্যুটিং শুরুর আগেই বাদ পড়ে যান মিম। প্রযোজক তাপসী তখন জানিয়েছিলেন একপ্রকার চাপে পড়ে অপু বিশ্বাসকে ছবিটিতে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। মিমের জন্য কিছু করতে পারলেন না, তাই চুক্তিবদ্ধ হওয়া টাকাটাও ফেরত চান না। মিম অবশ্য আকার-ইঙ্গিতে বলেছেন প্রযোজককে এই চাপ দিয়েছিলেন স্বয়ং অপু বিশ্বাসই।
এদিকে পরপর দুদিন দুটি পুরস্কার পেয়েছেন মিম। গত শুক্রবার দীপ্ত টিভি অ্যাওয়ার্ডে দর্শকের জরিপে সেরা ডিজিটাল কনটেন্টের নায়িকা হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এর পরদিন একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চলচ্চিত্রের সেরা নায়িকার পুরস্কার নেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার হাত থেকে।
ভয়েস/আআ