মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক:
ঠিক এমনই এক সকালে বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড দূর্গ জয় করেছিল বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইতে প্রথমবার নিউ জিল্যান্ডকে টেস্টে হারায় বাংলাদেশ। এরপর সাদা পোশাকে একেকটি টেস্ট বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘশ্বাস।
ঘরের মাঠে কিংবা বাইরে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে ক্লান্ত টেস্ট অঙ্গনে ২২ বছর কাটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ। তবে শেষটা রাঙানোর হাতছানি সাকিব আল হাসানদের সামনে।
রোববার ভারতের শেষ ৬ উইকেট নিতে পারলে প্রথমবার টেস্টে ভারতকে হারাবে বাংলাদেশ। কাজটা কঠিন। কারণ বাংলাদেশের পুঁজি কেবল ১০০ রান। ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে আজ দিন শুরু করবে বাংলাদেশ। মিরাজের ঘূর্ণিতে গতকাল শেষ বিকেলে শুভমান গিল, চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলি আউট হন। সাকিব ফেরান লোকেশ রাহুলকে। ক্রিজে আছেন অক্ষর পাটেল ও জয়দেন উনাদকাট।
এরপর আছেন রিশভ পান্ত, শ্রেয়াশ আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যাটিং লাইনআপ এখনো লম্বা ভারতের। তাইতো বাংলাদেশের বোলিং হতে হবে নিখুঁত, নিয়ন্ত্রিত ও আক্রমণাত্মক। তাতেই নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পাবে বাংলাদেশ। এর আগে মিরপুরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সুখস্মৃতিতে ভারতের নাম যুক্ত হয় কিনা সেটাই দেখার। স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াইয়ে নেমে বাংলাদেশ আঁটসাঁট বোলিংয়ে সফরকারীদের চেপে ধরে।
তাতে মিলে যায় সাফল্য। এখন অভাবনীয় এক জয়ের অপেক্ষায় গোটা দেশ। মিরপুরে যেবার বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারাল সেবার এক সেশনে মাত্র ৬৮ রানে দশ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মিরাজ, তাইজুল, সাকিবরা। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে সেরকম কিছুর পুনরাবৃত্তির আশায় বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়ে যে লড়াই বোলাররা করেছেন তা পূর্ণতা দেওয়ার পালা।
ভয়েস/আআ