সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের অপেক্ষায় হলি আর্টিজান হামলা আসামিরা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

বিচারিক আদালতের রায়ের পর হলি আর্টিজান হামলা মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন হাইকোর্টে। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল হাইকোর্টে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। প্রায় সাত মাস আগে বিচারিক আদালতের রায় হাইকোর্টে এলেও এখন চলছে মামলার শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরির শেষ কার্যক্রম।

মামলার অভিযোগপত্র অনুসারে, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে। ওইদিন হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় জঙ্গিদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। টানা এক বছর বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো– হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‍্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেওয়া হয়।

এরপর নিয়ম অনুসারে গত ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং খালাস চেয়ে করা আসামিদের জেল আপিল শুনানির জন্য মামলার নথিপত্র বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এ লক্ষ্যে বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথি তথা মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা, চার্জশিট, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও রায়সহ মোট দুই হাজার ৩০৭ পৃষ্ঠার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় জমা করা হয়। পরে মামলার যাবতীয় নথিপত্র একত্র করে আপিল শুনানিতে উত্থাপনের জন্য পেপারবুক তৈরি করতে বিজি প্রেসে পাঠান সুপিম কোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা।

পেপারবুকের প্রস্তুতির সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, এ মামলার পেপারবুক তৈরির কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। পেপারবুক তৈরি হলে তা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। এরপর প্রধান বিচারপতি মামলাটি শোনার জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন এবং তখনই এ মামলায় হাইকোর্টের শুনানি শুরু হবে।

এদিকে নিয়মিত কোর্ট খুললেই এ মামলার বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে শুনানির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘হলি আর্টিজানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সারাবিশ্বেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানোর পেছনে উগ্রবাদী বা মৌলবাদী আইএসপন্থিদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, তারা যে এ দেশে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বা তাদের যে শক্তি আছে তা দেখানোর জন্য এই প্রদর্শন। বিদেশি নাগরিককে হত্যার করার কারণে এটা বিদেশে আলোচিত হবে, লোকজন জানবে, এটাও ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তাই এই মামলায় আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ (দ্রুত শুনানি) নেবো। কোভিড-১৯-এর দুর্যোগ না এলে আগেই উদ্যোগ নিতাম।’

এ মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে থাকা মামলার নথিগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর রাষ্ট্রপক্ষ আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION