মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রাশিয়া যেসব ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায় ইউরোপের

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

ইউরোপের যোগাযোগব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে রাশিয়া। উত্তর সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া যোগাযোগ ক্যাবল নষ্ট করতে মাছ ধরার ট্রলার ও গবেষণা জাহাজের ছদ্মবেশে গুপ্তচর জাহাজ মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

বৃহস্পতিবার এমনটাই অভিযোগ করেছে ইউরোপের দেশগুলো। বিবিসি, ইন্ডিপেনডেন্টসহ একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকেই ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরে রাশিয়ার। তার ধারাবাহিকতায় ইউরোপের অধিকাংশ দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ আরোপ করেছে। তার দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপের যোগাযোগব্যবস্থা ধ্বংসের গুরুতর অভিযোগ এনেছে।

ইউরোপভিত্তিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, উত্তর সাগরে ইউরোপের দেশগুলোর যোগাযোগব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে রাশিয়া। সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া যোগাযোগব্যবস্থার ক্যাবল ধ্বংস করতে মস্কো নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এসব ক্যাবল নষ্ট করতে রাশিয়া গোয়েন্দা জাহাজ বহর মোতায়েন করেছে বলেও দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ গুপ্তচর জাহাজের বহরটি মাছ ধরার ট্রলার, এবং গবেষণা জাহাজের ছদ্মবেশে উত্তর সাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসব জাহাজ পানির নিচে নজরদারি সরঞ্জাম বহন করে সম্ভাব্য নাশকতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানের ম্যাপ তৈরি করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার জাহাজগুলো এ পরিকল্পনা অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের জলসীমার আশেপাশে চলাফেরা করছে এবং এ ব্যাপারে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা অবগত রয়েছেন।

ডেনমার্কের গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পরিপূর্ণ সংঘর্ষ বেধে যাওয়ার আশঙ্কায় এ নাশকতার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখছে মস্কো।

নরওয়ের গোয়েন্দা প্রধানের বরাত দিয়ে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নাশকতার জন্য মূল এলাকাগুলোর ম্যাপ তৈরির কাজটি রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সরাসরি মস্কোর নিয়ন্ত্রণেই এ কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি রাশিয়া।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION