রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যা যা করা দরকার বিএনপি ও বিরোধী দল তা করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমমনা পেশাজীবী গণতন্ত্র জোটের আয়োজনে প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার রায় বাতিল এবং এক দফা দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এতদিনে সবাই জেনে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যা যা করা দরকার বিএনপি ও বিরোধী দল তা করবে। এটা আপনারা মাথায় রাখেন, তাহলে ভালো হবে। অসম্মানিত হওয়ার আগে পদত্যাগ করলে সেটা হবে আপনাদের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা। আজকে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনোভাবে সমাধান করা যাবে না।
তিনি বলেন, আজকে তারা ক্ষমতায় আছে বন্দুকের জোরে, বন্দুকের জোরে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়। এদের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সর্ম্পক নাই। গণতন্ত্রের সর্ম্পক নাই। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগকে শতভাগ দলীয়করণ করেছে। আগে সরকারের লুটপাটের কথা বিরোধী দল বলত, এখন বিদেশিরাও বলছে। আমেরিকার দুর্নীতিরবিষয়ক সম্পাদক এসেও বলছে কীভাবে দুর্নীতি বন্ধ করা যায়। সরকার ভয় পেয়েছে। দেশকে বিদেশিদের চারণভূমিতে পরিণত করছে সরকার।
আইনমন্ত্রীর সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ডিজিটাল আইন বাতিল করে সাইবার আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী আপনি কি করলেন তা নিয়ে জনগণের মাথাব্যথা নেই। দুই-এক মাসও নাই হয়তবা। এমনও হতে পারে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপনাদের পদত্যাগ করা লাগবে।
সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আসাদুল হক অহিদুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, সাঈদ খান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার, রমিজ খান, ওমর ফারুক, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
ভয়েস/জেইউ।