শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ভোট দিতে বাধ্য করা বা বাধা দেওয়া যায়?

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি টানা তিন দিন ছুটি হতে যাচ্ছে। সাধারণত এই জাতীয় ছুটিতে মানুষ গ্রামেই বেশি যায়। তবে ঘুরতেও যায় অনেকে। এখন দেখার বিষয় এই নির্বাচনে কতটা আগ্রহ আছে ভোটারদের কিংবা কতটা স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিতে যায় তারা।

ভোটারদের সমর্থন পেতে ও ভোটার বাড়াতে এরইমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আর প্রার্থীদের প্রচারণা ও দৌড়ঝাঁপ চলছে। এবারের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনো উপায়ে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। তবে সেখানে বিপরীত কাজ করছে বিএনপি ও তার সহযোগী দলগুলো। ভোটারদের ভোটদানে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। তবে নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়া এবং বাধ্য করা– দুটিই মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনেকটাই বদলেছে। এখন ভোটে আগ্রহ হারাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা। কারণ এখন আর তাদের খুব একটা কদর নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচনী আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নির্বাচনে জয় পেতে ন্যূনতম ভোটার উপস্থিতির হার নিয়ে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। ফলে ভোটের রাজনীতিতে বর্তমানে অনেকটাই উপেক্ষিত হচ্ছেন ভোটাররা।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ভোট দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ করা একটি অধিকার। তেমনি ভোট না দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ না করাও একটা অধিকার। তবে ভোটে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। এটি আইনের বরখেলাপ, মানবাধিকার লঙ্ঘন। আবার কেউ যদি ভোট দিতে না চায়, তাকে বাধ্য করাও আচরণবিধির লঙ্ঘন।

একই দিন ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন কোনো নির্বাচনের সংজ্ঞায় পড়ে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নামে নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী, অনুগত প্রার্থী আর কিংস পার্টি দাঁড় করানো হয়েছে। ভয়–ভীতি দেখিয়ে সরকার নির্বাচনে শতভাগ ভোটার উপস্থিতি যদি নিশ্চিত করতেও পারে, তাও এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা বস্তুনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় গণমাধ্যম ঠিক প্রয়োজনীয় অংশটুকু রেখে, আগে এবং পিছে যা বক্তৃতায় বলা হয়, তা বাদ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এটাও সকল সময় করে না, মাঝে মাঝে এটা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।

নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, ভোটের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা পরিচয় নিশ্চিত করার পর একজন ভোটার তার পছন্দের প্রার্থী বাছাই করতে ভোট দিবেন। এখন দেখার বিষয় কত শতাংশ ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে যান।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION