শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এক আতঙ্ক অনলাইন অপহরণ। এ ঘটনার সঙ্গে বাস্তবের অপহরণের মিল নেই। চিরাচরিত অপহরণ ঘটনার মতো, ভার্চুয়াল অপহরণকারীরা প্রকৃতপক্ষে কাউকে অপহরণ করে না। তবে এ প্রক্রিয়ায় অপহরণের ছক সাজায় বাইরের চক্র, তারা ভার্চুয়াল মাধ্যম তথা অনলাইনে ভুক্তভোগীকে অপহরণের নাটক সাজাতে বাধ্য করে, তাই ভুক্তভোগী নিজেই হয়ে যান নিজের অপহরণকারী। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীকে পুরো নাটকটি সাজিয়ে পরিবারকে জানাতে বাধ্য করা হয়। শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার বদলে পরিবারকে ওই চক্রের কাছে টাকা পাঠাতে হয়।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে থাকা চীনের দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তাদের নাগরিক বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। প্রসঙ্গত গত ডিসেম্বরে এক চীনা শিক্ষার্থীকে উতাহ অঙ্গরাজ্যের বনাঞ্চল থেকে উদ্ধার করার পর এক বিবৃতিতে এই পরামর্শ দেয় চীনা দূতাবাস।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে ওই তরুণের পরিবারের কাছে এমন একটি ছবি পাঠানো হয় যা দেখে মনে হচ্ছে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করলে জানা যায় ওই শিক্ষার্থীকে এমন ছবি পাঠাতে বাধ্য করা হয়েছে।
এ অপহরণের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে অপহরণকারীরা সেখানে সশরীরে থাকে না। তবে ভুক্তভোগীর ওপর স্কাইপে বা অন্যকোন মাধ্যমে নজর রাখা হয়। এ পদ্ধতিতে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীকে বলা হয় চক্রের কথা মত কাজ না করলে তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করা হবে, অপরদিকে শিক্ষার্থীর অপহরণের ছবি পরিবারের কাছ পাঠিয়ে আদায় করা হয় মোটা অংকের অর্থ।
চীনের স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রতারণার মাধ্যমে কাই ঝুয়াং নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছ থেকে চীনের কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে থেকে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
পশ্চিমা পুলিশের মতে, ইউরোপের দেশগুলোতে থাকা চীনের বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে টার্গেট করছে সাইবার অপহরণকারীরা। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চীনা শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
ভয়েস/আআ