শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৯ সালে: নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে-নৌপরিবহণ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার ভয়েস:

নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম.সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণ কাজ আগামী ২০২৯ সালে মধ্যে শেষ হচ্ছে। এতে করে ২০৩০ সালে বন্দরের আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। একারণে বন্দরকে গিরে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। বন্দরের অভ্যান্তরীণ নিরাপত্তা য়েমন দরকার তেমনি বাহিরেরও নিরাপত্তা দরকার বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ, বিশাল সাগরে এই বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশী। সাগরে অনেকের যাতায়াত তাই বন্দরের ভেতরে বাইরের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে।

আজ সোমবার বিকেলে মহেশখালী মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা উপরোক্ত কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের ১ম দফার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন ২য় দফার কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর বন্দর বানিজ্যিক ভাবে চালু করা যেতে পারে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, গভীর সমদ্রবন্দর নির্মাণে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন জাইকা অর্থ যোগান দিচ্ছে। তারা গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে খুবই আন্তরিক। তার যতাযতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে ৭ টি লাইট হাউজ নির্মাণ কাজ চলছে। এগুলোও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর ফলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে সুফল পাওয়া যাবে।

নাফনদীতে ড্রেজিং বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আরাকান অঞ্চলে এখনো যুদ্ধ চলমান। একারণে নাফ নদী এখনো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরাকানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে তিনি জানান ততদিন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল করতে হবে।

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং কোল পাওয়ার কোম্পানির উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি মহেশখালীতে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সচিব সহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION