শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে তরুণদের অবরোধ

কেফায়েত উল্লাহ:

জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে কক্সবাজারে অবরোধ পালন করেছে তরুণরা। বৈশ্বিক জলবায়ু কার্যক্রম দিবসের অংশ হিসেবে সুইডিস পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের আহবানে সাড়া দিয়ে এই কর্মসূচি আয়োজন করে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস।

কোস্টাল ইয়ুথ একশন হাব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে তরুণ জলবায়ুকর্মীরা একত্রিত হয়।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের কক্সবাজার জেলা শাখার সদস্য আবতাহী আবরার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস সংগঠন থেকে জলবায়ু কর্মী আলী আদনান, পল্লব ঘোষ, তাফহিমুল হক ইলহাম, মিরাজ ও রাজিন সালেহ, কেয়ার বাংলাদেশ থেকে টিম লিডার সিরাজুল ইসলাম, ইপসা থেকে ইউসুফ মোহাম্মদ, স্বপ্নজাল থেকে শাকির আলম, ইয়াং স্টোরী টেলার ইয়ামিন শাহারিয়ার, টীম-কক্সবাজার থেকে গাজী নাজমুল, হ্যান্ডস ফর এডুকেশন হতে রামিম ও আবু নাসের হিজবুল্লাহ, এম্পাওয়া মি থেকে সাকিব, সিবিআইইউ থেকে আইন বিভাগ এর মোরশেদ এবং মেডিটেটিভ ইয়ুথ বাংলাদেশ হতে থেকে তাসকিয়া শাম্মী।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে আরও জড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে এ সময় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানব জাতি আজ বিপদাপন্ন। এ বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় তরুণদের ভূমিকা আরও অর্থবহ করতে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়ন, সবকিছুতেই তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া করোনা প্রণোদনা যেন জলবায়ু-সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নকে সর্মথন করে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে কেয়ার বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ কর্মসূচি।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের কক্সবাজার জেলা শাখার সমন্বয়ক জাবেদ নূর শান্ত জানান, জলবায়ু সংকটের কারণে গোটা বিশ্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের অবস্থান সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তারা আমাদের ভবিষ্যত ও বর্তমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION