বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
বলরাম দাশ অনুপম:
অপেক্ষার পালা শেষ করে শারদীয় দুর্গাপূজার আগমনী সুর এখন বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন ও করোনামুক্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী অবারিত মঙ্গলধ্বনি বয়ে যাক, দেবী দুর্গা এমন বার্তা নিয়েই
আসছেন লোকালয়ে।
এদিকে বুধবার (২১ অক্টোবর) পঞ্চমীর সন্ধ্যায় সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের প্রতিটি মন্ডপে মন্ডপে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। আর বৃহস্পতিবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। করোনা সংকটের কারণে পূজা উদ্যাপনে এবার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাই কক্সবাজার জেলার ২৯৯টি মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে এবারের দুর্গাপূজা। যার মধ্যে চকরিয়া উপজেলায় পৌরসভাসহ ৪৬টি প্রতিমা ও ৪২টি ঘট পূজা, পেকুয়া উপজেলায় ৬টি প্রতিমা ও ৭টি ঘট, রামু উপজেলায় ২০টি প্রতিমা ও ঘট পূজা ১০টি, সদর
উপজেলায় প্রতিমা ৩৪টি ও ঘটপূজা ২০টি, কক্সবাজার পৌরসভা প্রতিমা ১১টি ও ঘট
পূজা ৯টি, উখিয়া উপজেলা প্রতিমা ৬টি ও ঘটপূজা ৮টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রতিমা ১৩টি ঘটপূজা ২৯টি, মহেশখালীতে প্রতিমা ১টি ও ৩০টি ঘটপূজা ও টেকনাফ উপজেলায় শুধুমাত্র ৬টি প্রতিমা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধুমাত্র ঘটপূজা হবে। কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ জানান-এবারের পূজা সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে উদ্যাপন করা হবে। এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এই
আনন্দধারায় এবার কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। তবে আশাকরি সবার
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ বাধা অতিক্রম করতে আমরা সক্ষম হবো। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদ্যাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন, এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।
ভয়েস/আআ