শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারের বনাঞ্চলে ১০ দিনের ব্যবধানে ৩টি মহাবিপন্ন এশিয়ান হাতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’। মহাবিপন্ন এশিয়ান হাতির মতো এই বন্যপ্রাণী রক্ষায় দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয় যে, ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালীর কালাপাড়ার বনাঞ্চলে একটি বাচ্চা হাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৮ দিনের ব্যবধানে ১৪ নভেম্বর কক্সবাজারের রামুর জোয়ারিয়ানালার জুমছড়ির বনাঞ্চলে ৩০ বছর বয়সী স্ত্রী হাতিকে গুলি করা হয়। ওই হাতি ১৬ নভেম্বর মারা যায়। এক দিনের ব্যবধানে ১৫ নভেম্বর কক্সবাজার রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির খরলিয়াছড়ায় বিদ্যুতের তার ও গুলি করে আরও একটি হাতিকে হত্যা করা হয়।
এছাড়া গত দুই বছরে কক্সবাজার ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত ১৩টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গুলি এবং বিদ্যুতের তারে জড়িয়েই বেশির ভাগ হাতির মৃত্যু হয়। এভাবে ধারাবাহিকভাবে গুলি করে হাতি হত্যার ঘটনা উদ্বেগ তৈরী করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই পুরো দেশ থেকে এশিয়ান হাতি বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
এশিয়ান হাতিকে মহাবিপন্ন উল্লেখ করে এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ জানিয়েছেন, সারাদেশের ২৬৮ টি মহাবিপন্ন এশিয়ান হাতির দুই তৃতীয়াংশের বসবাস কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে। কিন্তু কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চলে রেললাইন, রোহিঙ্গা বসতি, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, অবৈধ জবরদখলসহ বিভিন্ন কারণে এসব হাতির নিরাপদ আবাসস্থল, পর্যাপ্ত খাদ্য, নিরাপদ চলাচল (করিডর) চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হয়েছে। যার কারণে এসব হাতি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। এতে হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ তৈরী হচ্ছে। এর মধ্যে অসাধু লোকজন হাতি ঠেকাতে নিষ্ঠুরভাবে গুলি ও বিদ্যুতের তার ব্যবহার করে হাতি হত্যায় মেতে উঠেছে।
নিরাপদ আবাসস্থল তৈরী, খাদ্য সংকট দুর করা, হাতি চলাচলের রাস্তা (করিডর) নিরাপদ ও নির্বিঘœ রাখা, হাতি হত্যায় জড়িতদের দ্রæত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরী, বনভূমি দখল রোধ, বনাঞ্চল তৈরীসহ মহাবিপন্ন এই এশিয়ান হাতি সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছে সংগঠনটি।
ভয়েস/আআ