বার্তা পরিবেশক:
টেকনাফ সদরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ভোগদলীয় জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে আবারও তৎপরতা শুরু করছে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মোনাফ,আব্দুল খালেক,আব্দুল্লাহ প্রকাশ লালু ও এখলাছ সরওয়ার। পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত অপরাপর ওয়ারিশরা জমিতে ঘেরা-বেড়া ও ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল ও বসবাস করে আসছে সদর ইউনিয়নের উত্তর লেঙ্গুরবিল এলাকার শফিক আলম গংরা।
প্রতিনিয়ত প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতিতে আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগীদের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পর্যটন বাজার সংলগ্ন ভোগদখলীয় জমিতে আমাদের ঘর-বাড়ি ও বসবাস করে আসছি। লেঙ্গুরবিল মৌজার বিএস ১১৮ ও ৩৪ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক অলি আহমদ পিতা খলিলুর রহমান মিয়াজী,সাং-নিজ। অলি আহমদের মৃত্যুতে উক্ত দুই খতিয়ানের তৎ ওয়ারিশ ৬ পুত্র ও ৫ কন্যা পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক হয়। অলি আহমদের মালিকানাধীন সহায় স¤পত্তিতে সকল ওয়ারিশ কোনরূপ ভাগবন্টন বিহীন এজমালীতে ভোগ দখল থাকাবস্থায় আমার এক চাচা বর্তমানে কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশে অবস্থান করছে। বিএস-১১৮ নং খতিয়ানের ৭৯৭২ দাগের এবং বিএস ৩৪ নং খতিয়ানের ৭৯০৯ দাগের জমিতে ভোগ দখলে বিদ্যমান আছি। বিবাদীগণ বর্তমানে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য উক্ত জমি আমাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ক্ষমাতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক জমি কেড়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদান করে আসছে। এতে আমরা বিবাদীদেরকে বাধা দিলে উক্ত বিবাদীরা আমাদেরকে প্রাণ-নাশে মারধর করিবে বলে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এরপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করলে বিবাদীগণ কারো কথা তোয়াক্কা না করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ সহকারী জজ আদালত,কক্সবাজারে ১৮৭২ সালের ১ম আইনের ৭৬ ধারায় একটি লিখিত মামলা দায়ের করা হয়। (যার মামলা নং-১৩৫/২০২০ইং)। এছাড়া বিবাদীরা যোগ সাজশে আমদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় বিবাদীদের এহেন হুমকি-ধমকি,আমি ও আমার পরিববারের সদস্যগণ খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বর্তমানে বিবাদীগণ যে কোন সময় লোকজন জড়ো করে যে কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটাইতে পারে। নিরুপায় হয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করিলাম।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তোফায়েল ইসলাম জানান,জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে আব্দুল মোনাফ গংদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ভয়েস/আআ