শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
নেছার আহমদ:
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় পঞ্চম দফায় ২য় দিনে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায়
১৭৬২ জন রোহিঙ্গা রওনা দিয়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে ২০টি বাসে করে ১১০০ জন ও বিকেলে আরো ১৪ টি বাসে করে ৬৬২ জন সহ মোট ১৭৬২ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু রওনা দেন। এ সময় তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪ টি গাড়ি, ৪ টি এ্যম্বুলেন্স, ৮ টি প্রটেকশন গাড়ি এবং মালামাল নিয়ে ২৩ টি কার্গোভ্যান যেতে দেখা যায়। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে রওনা হওয়া এসব রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাতে অবস্থান করবে।
এর পুর্বে মঙ্গলবার (২ মার্চ) পঞ্চম দফার প্রথম দিনে দুই ভাগে ৪০টি বাসে করে দুই হাজার ২৫৯ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছায়। তাদের নিয়ে বুধবার (৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ ভাসানচরের পথে রওনা হয়ে নির্ধারিত সময়ে সেখানে পৌঁছায়।
এর আগে, সোমবার ও মঙ্গলবার উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন শেষে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। সেখান থেকে দুই দিনে ৪ ভাগে ৭৪টি বাস তাদের নিয়ে ভাসানচরের পথে রওনা হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা জানান, এরপুর্বে কয়েক ধাপে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে গিয়েছে। এই দফায় ৯৮২ পরিবারের ৪০২১ রোহিঙ্গা ভাসানচরের পথে। আরো যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের ধাপে ধাপে ভাসানচর নেওয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নেওয়া হবে ভাসানচরে।
উল্লেখ্য, এই প্রক্রিয়ার শুরুতে গত ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের প্রথম অংশে ১ হাজার ৭৭৮ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় অংশে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে ভাসানচরে নেওয়া হয় এবং চতুর্থ দফায় দুই দলে ৩ হাজার ২০ জন পৌঁছান সেখানে। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস শুরু করেছেন।
ভয়েস/আআ