শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সেন্টমার্টিনে ব্যাপক প্রস্তুতি

ভয়েস প্রতিবেদক, টেকনাফ:

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের লোকজনকে নিরাপদে থাকার জন্য মাইকিং করে সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলার ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা, দ্বীপ ও চরগুলোতে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে অর্ধশতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে দুই দ্বীপের (সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে) বাসিন্দাদের মাইকিং করে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে প্রয়োজনে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া দ্বীপের লোকজন যাতে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী ও স্কুল, আবহাওয়া অফিস, ডাকঘর, হোটেলগুলো খোলা রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।

দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে দ্বীপে বাতাসের বেগ বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আসলে দ্বীপের বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত কাটে। কেননা সাগরের মাঝে আমাদের বসতি। এছাড়া আগের তুলনায় দ্বীপের অবস্থা ভালো না। সাগরে সামান্য পানি বাড়লে দ্বীপের চারদিকে ভেঙে যায়। তিনি আরও বলেন, শুনেছি ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ শক্তিশালী। তাই আমার মতো দ্বীপের সব বাসিন্দাই ভয়ে আছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনও হয়নি। তবে দ্বীপবাসীদের সর্তক থাকতে বিকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম, রেডক্রিসেন্টের লোকজন ও দ্বীপে দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। অবস্থা খারাপ হলে প্রয়োজনে দ্বীপের সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সব ধরনের নৌযানকে তীরে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রুবায়াৎ কবীর বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় দ্বীপে মোতায়েন করা বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনও দুর্যোগে দ্বীপবাসীদের জন্য বিজিবি সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। সুত্র: বাংলাট্রিবিউন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION