মঙ্গলবার (০১ জুন) সকালে ইউএনএইচসিআর-এর এই দুই সহকারী হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাস কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা জানান, প্রথমে তারা সাম্প্রতিক কালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ কুতুপালং ৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ব্র্যাক, অক্সফাম সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সহকারী হাইকমিশনারদ্বয় এসব প্রকল্পে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন এবং রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন কর্মসূচির খোঁজ খবর নেন। দুপুরে তারা কুতুপালং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরে কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারের পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোর ক্যাম্প ইনচার্জ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে বক্তব্যদান কালে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাঁরা। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয় দেখে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এরপুর্বে সোমবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ইউএনএইচসিআর-এর সহকারী কমিশনারদ্বয় ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল সহ ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে যান। সেখান থেকে বিকেলে হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার আসেন এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। কক্সবাজার সফর শেষে ইউএনএইচসিআর-এর সহকারী হাইকমিশনার দ্বয় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়নি।