সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম:
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শুক্রবার (২৩ জুলাই)। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার করণে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছেনা চট্টগ্রামে জেলেরা। তাই জেলে পল্লীগুলোতে খুশীর পরিবর্তে হতাশা নেমে এসেছে। কর্মতৎপর হওয়া জেলেরা হঠাৎ কর্মহীন হয়ে গেছে। জাল ও নৌকা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করা জেলেরা এখন অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছে।
উৎসবের আমেজে পড়েছে ভাটা। দীর্ঘ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কষ্টে থাকা জেলেদের মুখে ফুটেছিল। ব্যস্ততা দেখা গিয়েচিল বরফ কলগুলোতেও। দক্ষিণাঞ্চলের চট্টগ্রামের ফিসারীঘাট, কক্সবাজারে কস্তুরাঘাট সহ বৃহৎ মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুরসহ কুয়াকাটা সমদ্র উপকূলীয় এলাকায় দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছগুলোকে সঠিকভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং নির্বিঘ্নে মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে গত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে মৎস্য বিভাগ।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে জালে যে হারে ইলিশ ধরা পড়েছিল, এখন তার চেয়ে বেশি ইলিশ জালে আটকা পড়তে পারে। ইতোমধ্যে সাগরে প্রায় সব মা মাছই ডিম ছেড়ে দিয়েছে। জেলেরা নৌকা ও জাল মেরামতসহ সব রকম প্রস্তুতি সেড়ে ফেলেছেন। অনেকে নৌকায় জাল তোলার কাজ করছেন। কিন্তু বৈরীতার কারণে আপাতত অপেক্ষাই করতে হচ্ছে তাদের।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ শিকারে যেতে জাল মেরামত ও ফিশিং ট্রলার তৈরি করে রাখা হয়েছিল। নতুন ফিসারিঘাটে ২২০টি এবং পুরনো ফিসারিঘাটে ৬৮টি আড়তেও নেওয়া হয় প্রস্তুতি।
নগরের মাঝিরঘাট, চাক্তাই, ফিসারিঘাট, ফিরিঙ্গিবাজার, পাথরঘাটা, কাট্টলী, পতেঙ্গা ও জেলার বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড এবং আনোয়ারা উপকূলে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন জেলেরা। কয়েকটি ট্রলার যাত্রা করলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে আবারও ঘাটে ফিরে এসেছে।
ফিরিঙ্গিবাজারের ফিশিং ট্রলারের মাঝি আইয়ুব আলী বলেন, বঙ্গোপসাগরে ১০ হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার মাছ শিকার করে। এছাড়া কয়েকশ ফিশিং জাহাজও রয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে সাগরে যেতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ। তাই ভালো আবহাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় মোট ২৫ হাজার ৬৭৫ জন জেলে রয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে আছেন প্রায় ৩ হাজার জেলে। ২৬শ জন সাগরে মাছ ধরেন এবং প্রায় ৪শ জন মোহরা এলাকায় মাছ ধরা জেলে। মহানগরে ফিরিঙ্গিবাজার, পতেঙ্গা, আকমল আলী রোড, উত্তর কাট্টলী, দক্ষিণ কাট্টলীসহ মোট ৯টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার জেলে আছেন। মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তাদেরকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে মৎস্য বিভাগ।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে জালে যে হারে ইলিশ ধরা পড়েছিল, এখন তার চেয়ে বেশি ইলিশ জালে আটকা পড়তে পারে। ইতোমধ্যে সাগরে প্রায় সব মা মাছই ডিম ছেড়ে দিয়েছে। জেলেরা নৌকা ও জাল মেরামতসহ সব রকম প্রস্তুতি সেড়ে ফেলেছেন। অনেকে নৌকায় জাল তোলার কাজ করছেন। কিন্তু বৈরীতার কারণে আপাতত অপেক্ষাই করতে হচ্ছে তাদের।
ভয়েস/ জেইউ।