শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আজ সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাসেদ। ফাইল ছবি

জিকির উল্লাহ জিকু:

আজ আজ ২৩ আগস্ট মজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মা. রাশদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ থক শুরু হচ্ছে
২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন কক্সবাজারর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
কক্সবাজারর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভােকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করছন।

সিনহা হত্যা মামলায় মােট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১ থেকে ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ১৫ জন আসামিক আদালত হাজির করা হবে। এরমধ্যে মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বান শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্য দিয়েই শুরু হবে এ মামলার বিচার কার্যক্রম। এ মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন আসামিরা সকলেই কক্সবাজার জেলা কারাগার রয়েছেন।
গত সােমবার (১৬ আগস্ট) কক্সবাজারর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মােহাম্মদ ইসমাইল তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে আদেশ জারি করেন।

এর পুর্ব গত জুলাই মাসর ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখ এই মামলার স্বাক্ষগ্রহনের তারিখ নির্ধারণ ছিল। মহামারি করানার দ্বিতীয় ঢেউ মােকাবিলায় সরকারঘােষিত লকডাউনের কারণে হাইকার্টের নির্দেশ সারাদেশের মতাে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঐ তারিখ চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যায়নি।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কঁসুলি (পিপি) এ্যাডভােকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মােহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপ¯িতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই একটানা তিন দিন বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণর দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলন।  করােনার কারণ লকডাউন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সরকার গত ১১ আগস্ট থেক লকডাউন তুলে নিলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট নতুন কর এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহনের তারিখ ধার্য্য করেন। যথা সময়ে বাদীসহ স্বাক্ষীদর স্বাক্ষ্যগহন শুরু করবেন আদালত।

উল্লখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড় ৯টার দিক কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপােস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মাে. রাশেদ খান।
হত্যাকান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বােন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয় পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি কর হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব-১৫। হত্যাকান্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রূল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামী কারাগারে রয়েছ। এরমধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টবল সাগর দব ও রুবল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালত স্বীকারাক্তিমুলক জবানবদি দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলাে, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দুলাল রক্ষিত, কনস্টবল সাফানুর করিম, কামাল হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দব, এপিবিএনর এসআই মাে. শাহজাহান, কনস্টেবল  রাজীব ও মাে. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মাে. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

ভয়েস/ জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION