শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১২ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টারদিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে থেকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ তৃতীয় দফায় ৭তম সাক্ষী হিসাবে আবদুল হামিদকে দিয়ে প্রথমদিনের সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এরআগে গত থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার প্রথম দফায় ১নং সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা ৪ দিনে দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহন শেষ করেন আদালত। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষ করেন। আজ ৭সাক্ষী নিয়ে তৃতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে।
ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।
ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
<পরে র্যাব পুলিশের দায়ের মামলার ৩ সাক্ষি এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
ভয়েস/আআ