বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ। ফাইল ছবি। বিশেষ প্রতিবেদক:
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের প্রথমদিন শেষ হয়েছে। রবিবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে মামলাটির যুক্তিতর্ক চলে।
আদালত থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, “মেজর সিনহা হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ তথ্য গোপন করে সম্পূর্ণ প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পুরুস্কার হাতিয়ে নিয়েছে।”
ফরিদুল আলম আরও জানান, “কোন পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বিপিএম, পিপিএম’ পেতে হলে ওই কর্মকর্তার নিম্ন থেকে চাকরিতে অবস্থান থাকাকালীন সময় পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে সর্বোচ্চ তদন্ত করতে হয়। কিন্তু, ওসি প্রদীপ টেকনাফ থানায় এসআই থাকাকালীন সময়ে একটি মামলায় ২০০১ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়। তেমনিভাবে মহেশখালীতে একটি হত্যা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন অপরাধে মামলার আসামী ছিল। কিন্তু, সেই তথ্য গোপন করে রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করেছেন। এজন্য আমি হুজুর আদালতে সাবেক ওসি প্রদীপের কাগজ পত্রাদি যাচাই-বাছায় করে যাবতীয় রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদক বাতিলের জন্য মৌখিকভাবে আবেদন করেছি”।
এর আগে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলমের যুক্তিতর্কের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিন সকাল নয়টার দিকে উক্ত মামলার আসামী ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ জনকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, সর্বশেষ ৮ দফায় গত ৭ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষির মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, জেরা শেষ হয়েছে। মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছিল আদালত। একই সাথে আজ ৯ জানুয়ারি রবিবার থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিনধার্য্য করেছিল আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
ভয়েস/আআ