শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
আমিনুল হক, মহেশখালী :
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার সন্তান হলেও কর্মক্ষেত্রের কারণে আরেক দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে বেশি পরিচিত ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় মানুষ মরহুম সাইফুল্লাহ খালেদ। তিনি দীর্ঘদিন মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
তিনি ছিলেন আমার এসএসসি ৯২ ও এইচএসসি ৯৪ বন্ধু কক্সবাজার কর্মসংস্থান ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মাহাবুব কামাল খালেদ সবুজ এবং মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় কবি খালেদ মাহাবুব মোর্শেদ খোকন স্যারের গর্বিত পিতা। শ্রদ্ধাভাজন মরহুম সাইফুল্লাহ খালেদ ছিলেন একজন উদার মনের মানুষ, শিক্ষার্থীদের অতি প্রিয় শিক্ষক, সৎ ও নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ।
সর্বোপরি সর্ব্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি। তিনি রাজনীতি করতেন ঠিকই কিন্তুু রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কখনোই অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেননি। সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত জীবনযাপনই ছিলো তাঁর মৌলিক সাধনা। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবীদদের তিনি অন্তর থেকে ঘৃণা করতেন। একজন মানবপ্রেমিক ও সমাজহিতৈষী হিসেবেই নিজের সারাটি জীবন অতিবাহিত করেছেন শ্রদ্ধাভাজন মরহুম সাইফুল্লাহ খালেদ ।
তিনি ছিলেন একজন সুবক্তা। তাঁর অনলবর্ষী মঞ্চ কাঁপানো বক্তৃতায় তিনি হাজার-হাজার দর্শক-শ্রোতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন। তিনি ছিলেন একজন সুদক্ষ সংগঠক। মহেশখালীর বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাঠের একটি জনসভায় তিনি শিক্ষনীয় ভাবে বলেছিলেন –
“বাক্কুম বাক্কুম কেঁয়ারা
মইশে ভাঙ্গের টেঁয়ারা
মইশ তাড়াতে গেলামরে
কেঁড়া পুড়ি মইরলামরে।”
তাঁর সেইদিনের খই ফুটানো এই কথাটি এখনো কানে বাজে। তিনি আজীবন সন্তানদের এবং অনুজদের সততাধিকারী, সুচরিত্রবান ও দেশপ্রেমিক হিসেবে বেড়ে ওঠার উপদেশ দিয়ে গেছেন।
তিনি ২০১৯ খৃষ্টাব্দের ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। আজ ২২ জানুয়ারি তাঁর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী। তাঁর এই মৃত্যু বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে মাগফিরাত কামনা করছি এবং কামনা করছি মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন। আমিন।
ভয়েস/ জেইউ।