শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
সাইফুদ্দীন আল মোবারক, টেকনাফ :
টেকনাফে একটি ব্রীজের অভাবে হোয়াইক্যং আমতলী পশ্চিম পাড়ার শতাধিক পরিবারের মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো মতে কাঠের সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে। প্রতি বছর আমতলীর পশ্চিম পাড়ার ওইসব পরিবারের লোকদের নিত্যদিনের ব্যবসা বাণিজ্য, আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া, মসজিদ ও মন্দিরে ইবাদত করা এবং স্কুল, কলেজে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের ওই সাঁকো ব্যবহার করে খালের অপর প্রান্তে যেতে হয়।খালের অপর প্রান্তে অবস্থিত হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
সাঁকোর অপর প্রান্তের শিশু শিক্ষার্থীদেরই ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে এই প্রান্তে অবস্থিত স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় অভিভাবকরা থাকেন উদ্বিগ্ন ও চিন্তায় । প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রাই প্রতিবছর খুঁটি ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে কোনো মতে যাতায়তের ব্যবস্থা করেন।গত বছর স্কুলে যাওয়ার পথে ২ শিশু সাঁকো থেকে পড়ে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীরা।বছরের পর বছর মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও আজও সুনজর পড়েনি কোনো জনপ্রতিনিধি বা কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় চাকরিজীবী শাহীন উদ্দিন জানান,দীর্ঘদিনের এই সাঁকো দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করছি। উক্ত কাঠের সাঁকো দিয়ে বৃদ্ধ, মহিলা, শিশু, ছাত্র-ছাত্রী হাজারো মানুষের যাতায়ত। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম আমতলী নামক স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে গ্রামের হাজারো মানুষ উপকৃত হতো বলে জানান তিনি।
ওই এলাকার সরদার মমতাজ আহমেদ জানান, সাঁকোর ওপারে শতাধিক অধিক বাড়ি রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করে । বর্ষা মৌসুমে সাঁকো পার হতে ভয় লাগে । গত বর্ষকালেও এই সাঁকো থেকে পড়ে দুইজন শিশু মারা যায়। সাঁকো থেকে পড়ে ২ শিশু মারা যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ বা কারো নজর পড়েনি এই সেতুর প্রতি ।স্থানীয় নুরুল আমিন বলেন, তার আপন ভাগিনা গত বর্ষাকালে এই সাঁকো থেকে পড়ে মারা গেছে। অন্য কারো মায়ের কুল খালি হওয়ার আগে এই সেতু নির্মান করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ জানান।হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, পশ্চিম আমতলী গ্রামে উপজাতি সহ প্রায় হাজারো মানুষের বসবাস, বর্ষার মৌসুম আসলেই তাঁদের সাঁকো পারাপারে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সরকারের আশু দৃষ্টি কামনা করছি যাতে অতি শিগরিই কালভার্ট নির্মান করে জনগনের দুর্ভোগ দুরভোগ দুর করে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন,অনেক বড় ইউনিয়ন।তারপরও বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।আমতলী গ্রামে অনেক উন্নয়ন হয়েছে।ইতিমধ্যে পশ্চিম আমতলী একটি খালের উপর কাঠের সেতু ভেঙ্গে গেছে বলে জানতে পারি সেতুতি পঞ্চম বার্ষিকীর তালিকায় রয়েছে এবং জনমানুষের দুর্ভোগ লাগবে দ্রুত সেতুতি নির্মান করা হবে ।
ভয়েস/আআ