বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামে নতুন করে ১৫৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৬২ জন। শনিবার (৬ জুন) রাতে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য জানান। অপরদিকে জেলার সীতাকুন্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক পুলিশসহ তিনজন মারা গেছেন।
এই দিন চট্টগ্রামের তিনটি ল্যাব বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে মোট ৫২৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বিআইটিআইডিতে ২৩৬টি, চমেকে ১১৮টি এবং সিভাসুতে ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যথাক্রমে ৫২, ৩৭ ও ৬৫ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এছাড়া কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট উজ্জ্বল ধরের মা লীলা রানী ধর এবং মো. ফরহাদ নামে দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে লীলা রানী ধর চমেক হাসপাতালে এবং ফরহাদ জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া করোনা উপসর্গ দিয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৯৫ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬৭ জন।
অপরদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলায় এক পুলিশসহ তিনজন মারা গেছেন।তারা হলেন- ৪৫ বছর বয়সী পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল ইসলাম, ৫০ বছর বয়সী শাহ আলম এবং ৫৫ বছর বয়সী পঙ্কজ দাশ।
সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য, অন্যজন শ্রমিক। পুলিশ অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে এক চিকিৎসকসহ অ্যাম্বুলেন্স গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষার পর তিনি মারা গেছেন। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
অন্যদিকে আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়ে বাড়বকু- ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্ল্যাহ মিয়াজী বলেন, সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে পঙ্কজ দাশ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি মিরসরাইয়ে। এখানে একটি কারখানায় চাকরি করেন তিনি। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ভয়েস/আআ