বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
পহেলা বৈশাখ আর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা যেন মিলেমিশে একাকার। তার প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার আয়োজন ছাড়া ঢাকার উৎসব পূর্ণতা পায় না।
বৈশাখের প্রথম দিনে …
এবারের পহেলা বৈশাখ আমি দেশের মাটিতে কাটাতে পারছি না। ইতিমধ্যে আমি তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। সেখানে কটি দিন থাকব। মূলত ঘুরতেই যাচ্ছি। সঙ্গে কিছু কাজও নিশ্চয়ই করব। তবে এবারের সফরকে কোনোভাবেই পেশাগত বলা যাবে না। একান্তই ব্যক্তিগত সফর এটি।
আয়োজন …
গত দুই-তিন বছর তো পহেলা বৈশাখের কোনো আয়োজনও করা যায়নি করোনা মহামারীর জন্য। এবার অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই সন্তোষজনক। বৈশাখের আগে মঙ্গল শোভাযাত্রা, চারুকলার সাজ সাজ রব অন্যরকম আনন্দ দেয় মনে। এবার সবই হবে। তবে রোজার কারণে সর্বস্তরে বৈশাখের আয়োজন হবে না। পহেলা বৈশাখের সার্বজনীন আমেজটিও নেই। বিশেষ করে আমাকে পীড়া দিচ্ছে হঠাৎ করে সমাজে সাম্প্রদায়িকতা ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার বিষয়টি। পহেলা বৈশাখ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার সবচেয়ে বড় উৎসব। এখনই সময়, এই বৈশাখী আয়োজনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক চেতনাকে রুখে দেওয়ার।
সুরের ধারা…
আমি যেহেতু থাকতে পারছি না, তাই এবার সুরের ধারার সরাসরি কোনো মঞ্চ আয়োজন থাকছে না। তবে করোনার আগে প্রতি বছর যেভাবে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সুরের ধারা থেকে বর্ষবরণের আয়োজন হতো সেই আমেজেই চ্যানেল আইয়ের স্টুডিও থেকে একটি অনুষ্ঠান প্রচার হবে। দুদিন আগেই অনুষ্ঠানের শ্যুটিং শেষ করেছি। এতে সুরের ধারার শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার পাশাপাশি আমার একক গানও থাকছে। সবমিলিয়ে গোটা দশেক গান তো হবেই। রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি পর্যায়ের গানগুলোই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। যারা সুরের ধারার আয়োজন মিস করেন, তারা চ্যানেল আইয়ের পর্দায় এই আয়োজন উপভোগ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
ব্যক্তিগত আয়োজন …
এবার পহেলা বৈশাখে আমার একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে। ‘মঙ্গলবারতা’ নামের গানটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। কারণ গানটির উপস্থাপনশৈলী খুবই চমৎকার। রবীন্দ্রনাথের গান তো একই, কিন্তু এটিকে বলতে হবে নতুন কাপে পুরানো চা। কাপটি খুব সুন্দর। গানের বাণীর যে মাহাত্ম্য তার সঙ্গে প্রেজেন্টেশনটি মিলেমিলে একাকার হয়ে গেছে। আমার সঙ্গে গেয়েছে তরুণ প্রজন্মের শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। সঙ্গে অর্ধশত শিল্পীর সংযোগ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এই গানের প্রতিটি স্তবকে যেন সাধারণের মনের কথা বলছেন। হারাবার ভয়, আঁকড়ে ধরে থাকার প্রবৃত্তি, আশার মধ্যে জীবনের মর্ম খুঁজে পাওয়া, সুখ-স্বপ্ন, সুখের পেছনে অবিরাম ছুটে চলা-মানব প্রকৃতির এই চিত্র রবিঠাকুর অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই মহামারীর, যুদ্ধ বিগ্রহের সময় আমরা আবারও বুঝছি যে মানুষ বড়ই অসহায়। সম্প্রীতি ও সমর্পণ একমাত্র উত্তরণের পন্থা। এই পরিবেশনা শুধু বাংলা ভাষাভাষী মানুষই নয়, সবাইকে আলোর পথ দেখাবে, প্রশান্তি বয়ে আনবে। এছাড়া বিটিভির একটি আলাপচারিতা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি।
ভয়েস/আআ