শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

“সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করলে জীবিকা হারাবে মানুষ”

ভয়েস প্রতিবেদক:
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া সীমিত  হলে স্থানীয় বাসিন্দা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় তিন লাখ মানুষ জীবিকা হারাবে। হুমকির মুখে পড়বে পর্যটনখাতে বিনিয়োগকারীদের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত পুণঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক মানবন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,-সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিতকরণ বা রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে পর্যটন শিল্পে নিয়োজিত সাত-আটটি জাহাজ, ২০০-৩০০ বাস-মিনিবাস, ১০০ মাইক্রোবাস, ২০০ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, ৪০০ টুরিস্ট গাইড এবং দ্বীপের ১২০টি হোটেল-কটেজ ও ৭০টি রেস্তোরাঁয় কর্মরতদের জীবন জীবিকা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকার সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনে ৯০০ বেশি পর্যটক ভ্রমণে যেতে পারবে না। একই সঙ্গে যেসব পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাবেন তাদের ১ হাজার টাকা করে ভ্যাট দিতে হবে। এসব সিদ্ধান্ত পর্যটনের জন্য আত্মঘাতী। এতে করে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ক্ষতি হবে। তাই এ নীতিমালা বাতিলের দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা আরও  বলেন, সরকার ২০০৯ সালে পর্যটনকে ‘শিল্প’ ঘোষণার পর থেকে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে সম্পূর্ণ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পর্যটন শিল্প বিকশিত হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন বিকশিত হবার আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠি সমুদ্র থেকে মাছ আহরণের পাশাপশি প্রবাল উত্তোলন, প্রবাল পাথরকে নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য উত্তোলন করে বিক্রি, মাছের অভয়ারণ্য ধ্বংস, শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ করে বিক্রি, কাছিমের আবাসস্থল নষ্ট করাসহ বিভিন্ন উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করত।
সেন্টমাটিনে পর্যটন শিল্প বিকশিত হওয়ার পর উক্ত জনগোষ্টি বিকল্প জীবিকায়ন হিসেবে পাওয়ায় তাদের জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন আসে এবং তারাই পরিবেশ রক্ষায় সোচ্ছার ভুমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রীর স্ব-উদ্যোগে সর্বপ্রথম ২০১৬ ও ২০১৭ সালকে পর্যটনবর্ষ ঘোষণা করার ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা উৎসাহিত হয়ে তাদের বাসা-বাড়ির এক-দুই রুম পরিবেশবান্ধব অতিথি শালা তৈরি করে পর্যটক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দ্বীপকে ভালোবেসে বাৎসরিক মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবসা করার ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোক্তারা বিপুল বিনিয়োগ করেছেন।
মানববন্ধনে কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, পর্যটন সেবী মুফিজুর রহমান, জাহাজ মালিক সমিতি সভাপতি  তোফায়েল আহমদ, হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর ও টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION