বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০৮ জন নগর ও ৬১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৫০৪৮ জন। তাছাড়া একই দিন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০ জন। রবিবার (১৪ জুন) দুপুরে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডিতে ৪১ জন, সিভাসুতে ৪৫ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ১১১ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪ জন, ইমপেবিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৫৬ জন এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামে পাঁচটি ল্যাবে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৮৫৬ টি। এর মধ্যে ২৩২ টি বিআইটিআইডিতে, ১৫৩ টি সিভাসুতে, ৩০৪ টি চমেকে, ২৯ টি চবিতে, ১২৬ টি ইম্পেরিয়েলে এবং ১২ টি কমেকে নমুনা পরীক্ষা করানো হয়।
উপজেলা পর্যায়ে নতুন শনাক্ত ৬১ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ২, আনোয়ারায় ১০, চন্দনাইশে ৪ পটিয়ায় ৩, বোয়ালখালীতে ১০, রাউজানে ৭, হাটহাজারীতে ১৪ , সীতাকুন্ডে ১০ ও মিরশরাই ০১ জন আছেন।
এই দিন প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন ২৪ ঘন্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন এবং এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪০ জন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদিকে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের একজন হলেন সীতাকুন্ড পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহ আলম (৪৮)। শনিবার (১৩ জুন) রাত ১১টায় নগরীর আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আলমের ভাতিজা আশরাফ শোভন।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) শ্বাসকষ্ট নিয়ে মোহাম্মদ শাহ আলম ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার তার করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সেখানে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় শনিবার তাকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে বিকেলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শোভন অভিযোগ করে বলেন, বিকেল থেকে আমার চাচার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার পর ডাক্তারদের অনেক অনুরোধ করেছি অক্সিজেন দেয়ার জন্য। সেখানে একটা অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে অন্তত ৭-৮ জন রোগী টানাটানি করেন। শেষমেশ রাত ১১টার দিকে অক্সিজেনের অভাবে আমার চাচার মৃত্যু হয়।
ভয়েস/আআ