রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

কক্সবাজারের ‘ইউএনএইচসিআর’ কার্যালয়ের সামনে স্ব-পরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা রোহিঙ্গা যুবকের

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’-এর অফিসের সামনে সড়কের উপর শুয়ে এক রোহিঙ্গা যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এসময় মা-স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের ৫ সদস্য ছিল।পরে ‘ইউএনএইচসিআর’-এর কর্মকর্তা নিরাপত্তারক্ষী গণমাধ্যম কর্মী ও টহল পুলিশ আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ঐ যুবককে বুঝিয়ে শুনিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ক্যাম্প সিআইসি, পুলিশ ও পারিবারিক বিরোধের বঞ্চনার বিচার চাইতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার  (ইউএনএইসসিআর) কক্সবাজার সাব অফিসে আসেন রোহিঙ্গা যুবক আবুল ওসমান। তখন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক সড়কে শুয়ে পড়েন। স্ব পরিবারের আত্মহত্যার হুমকি দেন।
বুধবার রাত ৮ টারদিকে কক্সবাজার শহরের মোটেল রোডে ‘ইউএনএইচসিবর’ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবক উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের ই/ব্লকের ৪০ নাম্বার শেডের বাসিন্দা এহসানুল হকের ছেলে। সঙ্গে ছিল তার স্ত্রী, সন্তান ভাই ও মা ফাতেমা বেগম।
ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা আবুল ওসমান বলেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ক্যাম্প সিআইসি ও পুলিশ হয়রানি করছে নিয়মিত। পাশাপাশি রেশন নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তার কিছুই দেয়া হচ্ছে না। তারপরও নির্যাতনের বিচার চাইতে ‘ইউএনএইসসিআর’র সাব অফিসে আসি। কর্মকর্তারা বার আশ্বস্ত করে। কিন্তু কোন সমাধান দেয় না। এভাবে তাদের অবহেলার কারণে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
‘ইউএনএইচসিআর’সহ ক্যাম্পে নিয়োজিত এনজিও গুলো চাকরীর করার কারণে কথিত আরসার নেতাদের হুমকি পেতে হচ্ছে জানিয়ে এ যুবক জানান, ৩২ বছর ধরে তারা আমাদের (ইউএনএইসসিআর) নিয়ে ব্যবসা করছে। নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে নিরাপত্তা দেয়ার কথা থাকলেও তার কোন কিছুই করছে না। আমি বার বার অভিযোগ করার পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমি এখন স্ব পরিবারের আত্মহত্যা করবো।
আত্মহত্যা চেষ্টাকারী যুবকের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ওসমানের বাবা আরেকটি বিয়ে করে। ওই নারী আমার সন্তানদের হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক বার হামলা করে লোকজন নিয়ে। এ নিয়ে বার বার অভিযোগ দেয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন পুরোপরিবার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি। ওল্টো তারা আমার ছেলেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হেনস্তা করছে। ইউএনএইসসিআর অফিসেও কয়েক দফা বলার পরও সমাধান হচ্ছে না বা করছে না তারা। এখন কোথায় যাবো।
ইউএনএইসসিআর’ কার্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন বলেন, সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে কথা বলে তারা বের হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক সড়কে শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর আমরা তাকে বুঝিয়ে একটি ইজিবাইকে তুলে দিয়েছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউএনএইসসিআর কক্সবাজার কার্যালয়ের লিয়াজো অফিসার ইখতিয়ার উদ্দিন বায়েজীদ বলেন, নিবন্ধিত রোহিঙ্গা পরিবার বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। তাদের সঙ্গে কথা এক পর্যায়ে সে অফিসের সামনের সড়কে বেরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION