মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
আরিফিন শুভ, বিদ্যা সিনহা মিম ও নুসরাত ফারিয়া—কাজের মাধ্যমে দেশের গণ্ডি ছড়িয়েছেন অনেক আগেই। কেউ বিভুঁইয়ে কাজ করে পেয়েছে প্রশংসা, কেউ নিজ কাজ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অন্যত্র। অভিজ্ঞতার ঝুলিও এখন তাদের বেশ সমৃদ্ধ। এ চার তারকার বয়ানে উঠে এসেছে কাজ করার সময় তাদের ভাবনা, শেখা ও পেশাদারিত্বের কথা।
আরিফিন শুভ
আমি সবার ছাত্র, নতুন কিছু পেলেই শিখি। বিশেষ করে ইউটিউব থেকে শেখার চেষ্টা করি। অন্যভাবে বললে আমিই আমার নিজের শিক্ষক—কথাগুলো চিত্রনায়ক আরিফিন শুভর। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যার পদচারণা।
শুধু মুখের কথায় নয়, একেবারে হাতে-কলমে শিখতে ২০১৯ সালে শুভ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিনয়ে এক মাসের একটি কোর্সেও ভর্তি হয়েছিলেন।
ভারতীয় সিনেমা ছাড়াও শুভর অধ্যায়ে বড় একটি অংশ ‘মুজিব’, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো সাড়া ফেলে। কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫তম আসরে যার ট্রেলার প্রকাশ হয়। শুভর মতে, সেটি সৃষ্টিশীল মানুষের মেলা। সেখানেও অনেক কিছু শেখার আছে, জেনেছেনও অনেক কিছু। তিনি মনে করেন, কান সৈকতের সেই উৎসব তার মনে আলাদাভাবে সব সময় থাকবে।
এদিকে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় একাধিক সিনেমায় এ চিত্রনায়ককে পাওয়া গেছে। তবে ‘আহারে’ সিনেমার মাধ্যমে অন্য দেশের একক মুভিতে প্রথম কাজ করেছেন তিনি। এর পর ওপারের প্রস্তাব নিয়মিত এসেছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’খ্যাত এ তারকার চ্যাটবক্সে।
নুসরাত ফারিয়া
ফিটনেস সচেতন নুসরাত ফারিয়া হরহামেশাই সোশ্যাল মাধ্যমে জিমের ছবি শেয়ার করে থাকেন। হুট করে একটি ছবির নিচে মন্তব্য করে বসেন কলকাতার অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। লেখেন, ‘অ্যাবস ফেটে পড়ছে তো’! কলকাতার তারকাদের এমন মন্তব্য প্রায়ই পাওয়া যায় এই নায়িকার ওয়ালে।
ওদের সঙ্গে এতটাই তিনি মিশতে পেরেছেন। তবে এর প্রধান কারণ হলো—কাজ। ভারতের বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ তারকা। এর মধ্যে যেমন আছে যৌথ প্রযোজনা, তেমনি আছে একক প্রযোজনাও।
উদাহরণ দিলে সামনে আসবে—আশিকী, হিরো-৪২০, বস-২, ভয়, ইন্সপেক্টর নটি কে, বিবাহ অভিযানের মতো সিনেমা।
এ তারকার ভাষ্য, “আমি শুধু নিজেকে মেলে ধরতে চাই। যেখানে থাকবে আমার দক্ষতা ও আন্তরিকতা। বাইরে যে কোনো কাজ করতে গেলেই মাথায় ‘বাংলাদেশ’ বিষয়টি থাকে।”
বিদ্যা সিনহা মিম
দেশের গণ্ডি অনেক আগেই ছাড়িয়েছেন বিদ্যা সিনহা মিম। প্রশংসাও পেয়েছেন ভারতের নির্মাতাদের। আপাতত মন ডুবিয়ে রেখেছেন দেশের কাজে। বাইরে কাজ করে নিজের দেশকে গর্বের সঙ্গে তুলনা করে বলা যায় বলে মনে করেন এই নায়িকা। তবে কাজ নির্বাচন করার বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব দেন তিনি।
মিম বলছিলেন, ‘দেশের বাইরে কাজ করতে কখনো সমস্যা ছিল না, এখনো নেই। তবে আমি গল্পের ব্যাপার খুব সচেতন। গল্প যদি পছন্দ না হয়, সে কাজ আমি করি না। কারণে দিনশেষে গল্প দেখতেই মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যান। এখনো অনেক প্রস্তাব পাই, যদি মনের মতো গল্প পাই, আর সময় মিলে যায় তাহলে আবার দেশের বাইরে কাজ করব। দেখা যাক, কোনো কিছু ঠিক করা নেই।’
‘ব্ল্যাক, ‘থাই কারি’, ‘ইয়েতি অভিযান’ ও ‘সুলতান’ সিনেমায় দেখা গেছে মিমকে। দেশ ও বিদেশে কাজ করতে গিয়ে খুব একটা পার্থক্য পাননি। তবে এখনে সময়ের ব্যাপারে সচেতনতা কম বলে মনে করেন তিনি।
এ অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমাদের দেশে হাতেগোনা কয়েকজন পরিচালক ও প্রোডাকশন হাউস সময়ের ব্যাপারে সচেতন থাকে। কিন্তু বাকিরা শুটিং ততটা পরিকল্পনামাফিক করেন না, তাদের টাইম ঠিক থাকে না। কিন্তু দেশের বাইরে আমি যত কাজ করেছি, তারা অনেক গোছানো ছিল। যদি তারা বলে সকাল ৬টায় শুটিং শুরু করবে,তখনই শুটিং শুরু হয়। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায়, ৬টার শুটিং শুরু হতে হতে বেলা ১১-১১টা বেজে যায়!’
সুহাসিনী এই তারকা এখন ক্যারিয়ারের সুসময় কাটাচ্ছেন। চলতি বছর ‘পরাণ’ সিনেমা দিয়ে লাখো ভক্তের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি। অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসা পেয়েছেন ভক্তদের। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন তার পরবর্তী সিনেমা ‘দামাল’-এর। এতে হাসনা চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। ২৮ অক্টোবর এটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে।
ভয়েস/জেইউ।