বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ‘আপাতত’ নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) তোশাখানা মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বসম্মত রায় দিয়েছে ইসিপির পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ। এতে বলা হয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ইমরান খান জাতীয় পরিষদের সদস্য হওয়ার অযোগ্য।
এদিন ইসলামাবাদে ইসিপি সচিবালয়ে রায় ঘোষণা করেন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা। রায়ে বলা হয়, ইমরান খান আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন এবং তার প্রতিক্রিয়া সঠিক ছিল না। এ কারণে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় জাতীয় পরিষদে তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, তোশাখানা রেফারেন্সে ভুল তথ্য দেওয়ায় পিটিআই প্রধানকে সংবিধানের ৬৩(১)(পি) ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সংসদ বা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। রায়ে বলা হয়েছে, ভুল তথ্য দেওয়ায় ইমরানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু হবে।
সরকারি তোশাখানায় উপহার ও সেগুলোর কথিত বিক্রয় থেকে আয় সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য না দেওয়ায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত আগস্টে একটি মামলা করে জোট সরকার। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের আইনপ্রণেতারা জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে এ অভিযোগ জমা দেন। এরপর তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সেটি পাঠান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় তোশাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। এটি পরিচালনা করে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্যান্য দেশের সরকার ও রাজ্যের প্রধান, সংসদ সদস্য, আমলা, কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মূল্যবান উপহার তোশাখানায় সংরক্ষণ করা হয়।
নিয়ম অনুসারে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাওয়া উপহার বা এ জাতীয় অন্যান্য উপকরণগুলোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক।
ভয়েস/জেইউ।