বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মেসিকে বলেছি, আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই বিশ্বকাপ জিতব: নেইমার

খেলাধুলা ডেস্ক:

ক্লাব ফুটবলে তারা সতীর্থ হলেও, আন্তর্জাতিক ফুটবলে একে অপরের প্রতিপক্ষ। আবার চিরশত্রুও বলা যায়।ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বলে কথা! ক্লাব ফুটবলে বিরতি দিয়ে এখন যে যার মতো জাতীয় দলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নেইমার ও লিওনেল মেসি। কেননা সামনেই কাতার বিশ্বকাপ। আর সেই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতবে ব্রাজিল। মেসিকে এমনটাই বলেছেন নেইমার।
যদিও কথাটা মজার ছলেই বলা। পিএসজির হয়ে খেলার সময় জাতীয় দল নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না তারা। কিন্তু খুনসুটি তো করাই যায়! ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে খুব একটা আলোচনা করি না, তবে মাঝেমধ্যে মজা করি যে, ফাইনালে একে অপরকে গুঁড়িয়ে দেবো। আমি মেসিকে বলেছি যে, তোমাদের বিপক্ষে জিতেই আমি চ্যাম্পিয়ন হব এবং আমরা দুজনেই সেটা নিয়ে হাসাহাসি করেছি । ‘

মেসির সঙ্গে যতই মজা হোক, বিশ্বকাপে নেইমারের লক্ষ্যটা একই থাকছে। গত দুই আসরে তার ওপরই সবচেয়ে বড় ভরসা ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু দুইবারই ফিরতে হয়েছে হতাশায় ডুবে। সামনে আরো একটি সুযোগ। কাতারে এবার ২১৪ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ান ও বিশ্বের নানান অংশের ব্রাজিল সমর্থকদের ২০ বছরের আক্ষেপ মেটাতে চান নেইমার, ‘যেদিন থেকে ফুটবল বুঝতে শুরু করেছি সেদিন থেকেই বিশ্বকাপ আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। এখন আরেকটি সুযোগ পেয়েছি, আশা করি এবার জিততে পারব। ‘

‘দুটো বিশ্বকাপই আমার কাছে স্পেশাল, কারণ একটি ব্রাজিল আয়োজন করেছে এবং অন্যটি ছিল আমার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এবং আমি বিশ্বাস করি এই বিশ্বকাপও খুব স্পেশাল হবে । ২০০২ সালে যখন ব্রাজিল জিতেছিল, তখন বাবা ও পরিবারের সঙ্গে তা দেখেছিলাম। এটাই ছিল প্রথম বিশ্বকাপ যা আমি ভালোভাবে অনুসরণ করি। ‘

নেইমার আরো যোগ করেন, ‘১৯৯৪ বিশ্বকাপের কেবল ভিডিও দেখেছি তবে আমি এখনো রোমারিওর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করি, যাকে কিনা আমি খুব পছন্দ করি। আমার আদর্শ অনেকেই। অবশ্যই পেলে, রোনালদো, রোমারিও, কাকা, রোনালদিনহো। তারা সবাই আমার প্রিয়। ‘

ব্রাজিলের হয়ে ১২১ ম্যাচে ৭৫ গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। আর তিনটি গোল করলেই কিংবদন্তি পেলেকে ছাড়িয়ে ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হবেন তিনি। বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে আকার-ঈঙ্গিতের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন, এটিই হতে যাচ্ছে তার শেষ বিশ্বকাপ। ‘

এবারও যদি সফল না হোন, তাহলে কি ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা থেকে যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সজোরেই ‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করেন নেইমার, ‘আমার ক্যারিয়ারে আমি এমন কিছু অর্জন করেছি, যা কোনোদিন কল্পনাতেও ভাবিনি। তাই যদি আজই যদি ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়, তাহলেও বলব আমি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ। ‘

ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সিটি পাওয়ার জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়। নেইমারকেও তা-ই করতে হয়েছে। তবে এই জার্সিই আবার প্রত্যাশার অদৃশ্য চাপ নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু সব ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করতে পছন্দ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের, ‘বিশ্বে পরিচিত, ১০ নম্বর জার্সি এবং যা কিছুর সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে আছে-সেই চাপ সত্ত্বেও আমি একজন সাধারণ মানুষ। চেষ্টা করি মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার। ‘

‘সবার মতো আমারও বন্ধু এবং পরিবার আছে। আমারও অনুভূতি আছে। মাঝেমধ্যে খারাপ লাগে, আবার অন্যান্য সময় খুব খুশিও হই। পাশের বাসার মানুষটার মতোই আমার মন-মেজাজ এলোমেলো থাকে। তবে আমি এতে খুব একটা চাপ অনুভব করি না, বরং সেটাকে নিজের শক্তি হিসেবেই ব্যবহার করি। মানুষ ও খেলোয়াড় হিসেবে আজ যা কিছু হয়েছি তার জন্য আমি গর্বিত। ‘

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৩১-এ পা দিবেন নেইমার। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনা সামলানোর তরিকাটাও ভালোভাবে আয়ত্তে এনেছেন তিনি, ‘জীবনে যত কিছুরই অভিজ্ঞতা হোক না কেন, সেগুলো থেকে আপনি শিখতে পারবেন। এমনকি আপনার ভুল থেকেও। কেউই জন্মগতভাবে নিখুঁত হয় না এবং কেউ নিখুঁত হতেও পারে না। জীবনে আপনার যত বাধা আসবে ততই আপনি বড় হবেন। তাই যখন বয়স ২২ বা ২৩ বছর ছিল, সেই তুলনায় আজ এসব সহজভাবেই সামলাতে পারি। ‘

বিশ্বকাপ সবসময়ই চমক নিয়ে আসে। সেই অপেক্ষায় আছেন নেইমারও। বললেন, ‘বিশ্বকাপ চমকে ভরপুর। এমন দল যাদের উপর খুব বেশি প্রত্যাশা থাকে না, কিন্তু তারা টুর্নামেন্টে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যায়। তবে আমি বিশ্বাস করি আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন ও ফ্রান্স ফেভারিট। আমি মনে করি এই চার দলের সঙ্গে ব্রাজিলও ফাইনালে পৌঁছাতে পুরোপুরি সক্ষম। ‘

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION