বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে’

বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে আগামী ৭ ডিসেম্বরের জনসভায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। আজ বিকেলে প্রধান মন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিপূর্বে ২০১৭ সালের ৬ই মে উক্ত স্থানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেছিলেন। উক্ত ভাষণে তিনি কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নসহ ব্যাপক মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। মেঘা প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকল্প ইতিমধ্যে দৃশ্যমান এবং দ্রুত উক্ত মেঘা প্রকল্প সমূহ উৎপদানে যেতে সক্ষম হবে। বাস্তবায়নাধীন মেঘা প্রকল্পের মধ্যে কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর, কক্সবাজারবাসীর স্বপ্নের রেল লাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, সাবরাং এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক, মেডিকেল কলেজ, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম, বিকেএসপি, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, শেখ হাসিনা নৌ ঘাটি, হাই-টেক পার্ক, জাতীয় সমুদ্র গবেষনা ইনন্সিটিটিউট, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ প্রায় ৪০টি বড় ধরনের উন্নয়ন মেঘা প্রকল্পের সুফল দ্রুত কক্সবাজারবাসীসহ দেশবাসী ভোগ করতে পারবেন।

এসময় বক্তারা বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় আজ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এবং বাঙালী জাতি সম্মানের আসনে অধিষ্টিত। সারা দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন দেশবাসীর জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। এ এগিয়ে যাওয়া বিএনপি-জামাতসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের পছন্দ নয়। তাই তারা দেশের এগিয়ে যাওয়া এবং উন্নয়নের গতি ব্যহত করার কুমানসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অরাজগতা সৃষ্টি করে দেশের শান্ত পরিস্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য যেকোন উপায়ে ক্ষমতা দখল করে লুটপাট, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস করে এবং হাওয়া ভবনের মত আরেকটি ভবন সৃষ্টি করে পাকিস্তানী ভাবধারায় অনুন্নত ও অস্থিতিশীল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দুর্নীতিবাজ, ফেরারী আসামী তারেক জিয়া ও সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার এই নীল নকশা কখনো সফল হবে না এবং বাঙালী জাতি কখনো তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করার অধিকার দেবে না।

প্রেসব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মুখে হাসি দেখতে ভালোবাসেন। তিনি দেশকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি গৃহহীনকে গৃহ, ভূমিহীনকে ভূমি প্রদান করেছেন। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পুষ্টি ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, পঙ্গু ভাতাসহ বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা ভাতা প্রদান করে সাধারণ মানুষের অন্তরে নিজের দৃঢ় অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন, তার কথা শোনতে চান এবং তারা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে চান। তাই আগামী ৭ই ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম লক্ষ লক্ষ মানুষের পদচারনায় মুখোরিত হবে। সারা কক্সবাজার শহর জনসভাস্থলে পরিণত হবে।

বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারবাসীকে তাদের প্রত্যাশার চাইতেও বেশি উন্নয়ন দিয়েছেন। কক্সবাজারকে অপরূপ সুন্দর্য্যের রাণী হিসেবে তিনি গড়তে চান। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা যাতে কক্সবাজার এসে ভ্রমণ করতে পারেন, প্রাকৃতিক সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারেন সে লক্ষ্যেই কাজ করার জন্য তিনি কক্সবাজার পৌরসভা সহ বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কক্সবাজার নিয়ে তার সুদরপ্রশারি স্বপ্ন রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও কক্সবাজারকে খুব বেশি পছন্দ করতেন, ভালোবাসতেন কক্সবাজারবাসীকে। তাই এত উন্নয়নের পরেও কক্সবাজারবাসী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আরো কিছু প্রত্যাশা করেন। এরমধ্যে কক্সবাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সংযুক্তিকরণ, কক্সবাজারের সাথে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বার্থকালী নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, কুতুবদিয়া মগনামার মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালুকরণ, কক্সবাজার পর্যটন গবেষনা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক, ছয় লেনের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহসড়ক, কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণ, যুগ যুগ ধরে ঝিনুক ব্যবসার সাথে জড়িত উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের পুণঃবাসন ও স্থায়ী আধুনিক ঝিনুক মার্কেট নির্মাণসহ অনেক প্রকল্প।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইন্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION