মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
নতুন বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। লম্বা সময় ধরে ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্স করা বাংলাদেশকে ঘিরে এই ফরম্যাটে প্রত্যাশার মাত্রাটা খানিকটা বেশিই। এর মধ্যে রাসেল ডমিঙ্গো চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে নতুন কোচও খোঁজা শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের বছরে নতুন কোচের সঙ্গে দ্রুততম সময়ে মানিয়ে নেওয়াটা মোটেও সহজ হবে না। যদিও মিরাজ কোচের অপেক্ষায় থাকার কোনও কারণ দেখছেন না।
ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট শেষে সাকিব বলেছিলেন— ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বছর। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বছরে অন্তত ৩ মাস কোচবিহীন থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো আগামী মার্চে ডমিঙ্গোর স্থলাষিভিক্ত হিসেবে হাথুরুসিংহকে দেখা যেতে পারে! সেক্ষেত্রে তার অধীনেই বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ খেলতে হবে। ফলে নতুন কোচ যখন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তখন বিশ্বকাপের বাকি থাকবে ৭ মাস। এই সমটা পর্যাপ্ত কিনা?
টেস্ট ও ওয়ানডেতে দলের অপরিহার্য হয়ে ওঠা মেহেদী হাসান মিরাজের মতে, কোচরা কেবল পরিকল্পনা করবেন। মূল কাজটা করতে হবে ক্রিকেটারদেরই। ঠিক এই কারণে ব্যক্তিগত প্রস্তুতিতেই জোর দিচ্ছেন অফস্পিনার অলরাউন্ডার, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সবাই কিন্তু নিজের প্রস্তুতি, নিজের কাজ সম্পর্কে জানে। আমি নিজেকে কীভাবে উন্নত করবো কিংবা নিজের প্রস্তুতিটা কী, সে সম্পর্কে জানি। শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে কিন্তু খেলোয়াড়দের এবং ভালো খেলতে হবে। তাদের প্রস্তুতিটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের মূল ও শক্তির যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো আরও শক্তিশালী করতে হবে।’
মিরাজ আরও বলেন, ‘আমাদের যে ভুল আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করবো এই ঘরোয়া প্রতিযোগিতার ভেতরে। এরপর নতুন (কোচ) যারা আসবেন, তারা তাদের পরিকল্পনা সাজাবে। সেখানে আমরা আমাদের ভাবনাগুলো দেবো, কীভাবে খেলতে পছন্দ করি, বা আমাদের কোন জায়গায় কী সমস্যা। এটা একটা কম্বিনেশনের ব্যাপার।’
হাথুরুসিংহের মেয়াদেই অভিষেক হয়েছিল মিরাজের। নতুন করে হাথুরুসিংহে-কে কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলে নিশ্চিতভাবেই সুবিধা হওয়ার কথা অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডারের। মিরাজ অবশ্য মনে করেন, পারফরম্যান্স না করলে যে কোচই আসুক, কোনও দাম থাকবে না, ‘ওর আন্ডারে (হাথুরুসিংহে) আমার অভিষেক হয়েছিল… এন্ড অব দ্য ডে-তে আমাকে কিন্তু পারফর্ম করতে হবে। আমি যদি পারফর্ম করতে না পারি, তাহলে কিন্তু খেলতে পারবো না, যে কোচই আসুক না কেন। এখানে পারফর্ম করেই খেলতে হবে। পছন্দ করুক না করুক সেটা ব্যাপার না। কোচ খেলোয়াড়কে পছন্দ করে যখন কেউ পারফর্ম করে, ওভারঅল সবাই পছন্দ করে। এখানে পারফর্ম করা গুরুত্বপূর্ণ যে কোচই আসুক না কেন।’
৫০ ওভারের ক্রিকেট গত বছরটি দারুণ কাটিয়েছেন মিরাজ। ওয়ানডে-তে ১৫ ম্যাচে ৩৩০ রান, ২৪ উইকেট পেয়েছেন। নতুন বছরের পাশাপাশি বিশ্বকাপে এর ধারাবাহিকতা রাখতে জানকে ঘিরে এখন থেকেই পরিকল্পনা সাজানোর কথা বলেছেন তিনি, ‘২০২৩ সালে আমাদের বড় ইভেন্ট আছে, সেটা বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপকে ঘিরে আমাদের সব পরিকল্পনা করা হবে। আমি নিজেকে ওভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত হবো যে, কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। বিশ্বকাপ বড় ইভেন্ট। সেজন্য ওভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা যদি এখন থেকে প্রস্তুতি নেই, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। যে ধারাবাহিকতা নিয়ে আমরা খেলে এসেছি, সেটা যদি টেনে নিতে পারি, তাহলে দলের জন্য অবশ্যই ভালো হবে।’
ভয়েস/জেইউ।