মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটাই মাত্র দাবি—সারা দেশের মানুষ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায়। মানুষ ভোটের অধিকার চায়। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। কেন্দ্রে গিয়ে দেবো। রাতে নয়, দিনে দেবো। সেই দাবি পূরণের জন্য এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানাই।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও মহল্লায় পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচি শেষে আলুকান্দা বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপির ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসাসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাকির হোসেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজ দেশের ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দাবি একটাই—আমরা একটা সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন চাই। আমরা আমাদের ভোটের অধিকার চাই। এ দাবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আমাদের ১০ দফা দাবি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ, তিনি ভোটে নির্বাচিত না। আপনারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং উপজেলা ও সংসদ নির্বাচনের কোথাও ভোট দিতে পারেন না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন না, এর জন্য তো দেশটা স্বাধীন হয়নি। আমরা তো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। এই স্বাধীন দেশে আমি ভোট দিতে পারব না কেন? দুধের মধ্যে তেঁতুল পড়লে দুধ নষ্ট হয়। সুতরাং শেখ হাসিনা যেখানে আছে সেখানে গণতন্ত্র নষ্ট। অর্থাৎ যেখানে শেখ হাসিনা থাকে, সেখানে গণতন্ত্র থাকে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতন্ত্র ফেরাতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে পড়েছে জাতির সামনে। তাই, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন আছে, এই নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে।
নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির নেতা দিয়ে নয়, দেশের বিশিষ্টজনদের দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকার একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তার পরে একটা নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে ভোট দেবেন আপনারা। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা কেন মাঝপথে রাজপথে নেমেছি। এর একটি কারণ আছে। এখানে যারা দোকান করেন, ব্যবসা করেন এবং যারা ক্রয় করেন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না? কিন্তু আপনাদের আয় কি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে? যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, আর আয় যদি না বাড়ে, তাহলে চলবেন কিভাবে? বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে। সারা পৃথিবীতে জ্বালানি তেলের দাম কমছে, কিন্তু আমাদের দেশে বিদ্যুতের দাম লাগামহীনভাবে বাড়াচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম যদি বাড়ে, তাহলে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর রায় বলেন, আপনি যখন গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমাতে পারেন না, তাহলে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন। গ্যাস-বিদ্যুতের কথা বললে মন্ত্রী সাহেব মনে করেন, তার বিরুদ্ধে বলছি। না, আপনার বিরুদ্ধে বলছি না। এসব বাড়ানো-কমানোর ক্ষমতা মন্ত্রীর নেই।
ভয়েস/জেইউ।