সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক:
দেশের ক্রিকেটের মোটামুটি প্রতিষ্ঠিতই, সাকিব আল হাসানের যতটুকু প্রস্তুতির প্রয়োজন ততটুকুই নেবেন। এর বাইরে জোর করে কখনোই ম্যাচের আগে অনুশীলন করেন না। এবারও তাকে দেখা গেল না বাড়তি কিছু করতে।
সোমবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে দুপুরেই দলের সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েন সাকিব। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই নিজেকে ঝালিয়ে নেন। অনুশীলনে বেশ চনমনে, ফুরফুরে লাগছিল সাকিবকে। সন্ধ্যায় গোটা দল বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও সাকিব ছিলেন বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের পূর্বঘোষিত অনুষ্ঠানে।
মঙ্গলবার সকালে সাকিব হাজির অনুশীলনে। শুরুতে মিরপুরের উইকেট দেখে নেন। সেখানে ব্যাট হাতে শ্যাডো করে চোখ মিলিয়ে নেন। পরবর্তীতে তার ঠিকানা ইনডোর। সেখানে ব্যাটিং-বোলিং দুইটা করেই নিজের প্রস্তুতি সারেন। অনুশীলনে ফাঁকে, শেষ তাকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
সাত বছরের লম্বা সময় পেরিয়ে হাথুরুসিংহে আবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিরেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। মাঠে নামার আগে সাকিবকে দুই সেশনে অনুশীলনে দেখেছেন চন্ডিকা। কেমন দেখলেন সাকিবকে? জানতে চাওয়া হয়েছিল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরে সাকিবকে নিয়ে আশার কথা শোনালেন হাথুরুসিংহে।
‘প্রচুর ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। আমাদের প্রতিপক্ষ দুদিন আগেই এসেছে এবং এখানেও তাদের খেলতে হবে। ব্যস্ত সূচির এই একটা চরিত্র।’
‘সাকিবের পারিবারিক ইমার্জেন্সি ছিল। লম্বা ভ্রমণ শেষে সে গতকাল ফিরেছে। আশ্বস্ত করেছে সে চনমনে আছে। গতকাল ও আজ পুরোদমেই অনুশীলন করেছে। আমি মনে করি এ সময়ে তার পাশে থাকা উচিত এবং আমরা সবাই জানি তার অভিজ্ঞতা কেমন এবং সে কে। সে তার শরীর সম্পর্কে অবগত। আমরা তার উপরেই তাকে ছেড়ে দিয়েছি।’
প্রথম দুই ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো সুযোগ দেখেন না হাথুরুসিংহে। সেরা কম্বিনেশন নিয়ে মাঠে নামার কথা বলেছেন, ‘আমি মনে করি না প্রথম দুই ম্যাচে খুব বেশি পরিবর্তনের সুযোগ আছে। আমরা সফলতা পেয়েছি। আসলে কম্বিনেশন তৈরি করা হয় উইকেট বিবেচনায়। এখানে কোনো চমকের সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরেকটি কথা বেশ প্রচলিত আছে, হাথুরুসিংহে কড়া হেডমাস্টার। ড্রেসিংরুমে তার কথা, সিদ্ধান্তই শেষ কথা। মাঠ পরিচালনা অধিনায়ক করলেও হাথুরুসিংহের ছক কাটা পরিকল্পনাতেই সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চার বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটে কাটিয়েছেন শ্রীলঙ্কান কোচ। এ সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক কিছু পাল্টে দিয়েছেন। তবে নানা বিতর্কেও জড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে ৫৪ বছর বয়সী এ কোচ বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিশেষ এক চরিত্রই বনে গেছেন।
তবে কড়া মানসিকতার এ কোচেরও রয়েছে নমনীতার সংমিশ্রমণ। নিজের আবেগ দেখাতে পছন্দ করেন না। তবে সম্পর্কের মূল্যায়ন ঠিকই করতে পারেন।
তার কথায় উঠে এলো সব, ‘আমার একটি শক্তি হলো, আমি জানি আমি কি চাই। আমি যা চাই তাই করে যাই। আমি যা বিশ্বাস করি তাতে আমি সফলতা পাই। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। ছোটবেলা থেকেই এটা আমার অন্যতম শক্তি।’
‘আমার বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন এবং আমার মা ছিলেন একজন নার্স। আপনি সেনাবাহিনীর কঠোর শাসনও পেয়েছেন আবার নার্সের মমতা। আমি মনে করি আমার চরিত্রটি এটির উপর নির্মিত। আমি মানুষের সাথে খুব সৎ। আমি এভাবেই নিজেকে মূল্যায়ন করি।’
ভয়েস/আআ