বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানির জেরে পদত্যাগ করেছেন গ্রিসের পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। তিনি বলেছেন, এই অবস্থায় পদত্যাগ করা তার কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু হয়নি মনে করে কাজ চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। খবর আল-জাজিরার।
গত মঙ্গলবার রাতে (২৮ ফেব্রুয়ারি) এথেন্স থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকিগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে থেসালোনিকি থেকে লারিসাগামী একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় এবং কয়েকটি বগিতে আগুন ধরে যায়।
রেল অপারেটর হেলেনিক ট্রেন জানিয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে প্রায় ৩৫০ জন আরোহী ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৮ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৬ জন। এদের মধ্যে ছয়জন নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।
বাকি যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গ্রিক পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। এর পরপরই পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।
কারামানলিস বলেছেন, যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যখন এমন দুঃখজনক কিছু ঘটে, তখন কিছুই হয়নি ভান করে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমি এটিকে (পদত্যাগ) আমাদের গণতন্ত্রের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মনে করি। একে বলে রাজনৈতিক দায়িত্ব।
গ্রিসের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জন্য ‘মনুষ্য ভুল’কে দায়ী করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিৎসোটাকিস। বুধবার টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেছেন, সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে একটি মর্মান্তিক মানবিক ত্রুটির কারণে।
এর আগে, ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করে গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
দুর্ঘটনার পর থেসালির গভর্নর কনস্টান্টিনোস অ্যাগোরাস্তোস এসকেএআই টেলিভিশনকে বলেন, সংঘর্ষটি খুবই ভয়াবহ ছিল। যাত্রীবাহী ট্রেনের প্রথম চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এবং প্রথম দুটি বগি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।