শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার ঐতিহাসিক পানশিল্প বাজার উম্মুক্ত করুন। লকডাউন আইন বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে বিকল্প পন্থায়। না হয় ক্ষুধার জ্বালায় অভুক্ত হয়ে থাকবে মহেশখালীর সাধারণ পান চাষী ও তাদের পরিবার। এমন আকুতি উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃষি ও পান চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মোঃ শাহ আলমের।
তিনি বলেন, “আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি এবং মেনে চলার বিষয়ে সচেষ্ট থাকি। কিন্তু পেটের জ্বালা এমন জ্বালা যেটি কারো পক্ষে দিনকে দিনকে সোয়া সম্ভব নয়। তাই করোনা মহামারিতে আলোচনা সাপেক্ষে বিকল্প উপায়ে পানের বাজারজাত করা আবশ্যক। যেহেতু পান পচনশীল দ্রব্য, না রাখতে পারা যায় গাছে, না পারে গুদাম জাত করে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ এই পেশায় জড়িত। যার উপর নির্ভরশীল তাদের পরিবার পরিজন। তাই বিনীতভাবে অনুরোধ আমাদের পরিবাগুলোকে বাঁচান, পান শিল্প বাঁচান।
কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, “সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আজকের পানের গাড়ি গুলো বাজারজাত করতে পারায়। পক্ষান্তরে আজকের সিদ্ধান্তকে মনে রাখব মহেশখালী উপজেলার কর্ণধারকে, মানবিক হৃদয়ের মানুষ হিসেবে।”
তিনি কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার হিসাব মতে, বর্তমান ১৪ হাজার হেক্টরে পান চাষ হয়। তার মধ্যে ৪০০ হেক্টর জমি বিল পানের বরজ রয়েছে। ১০০০ হাজার হেক্টর পাহাড়ি বনভূমিতে ঢালুতে পান উৎপাদন হয়। মহেশখালীতে কৃষি বিভাগের হিসাব মতে ৫৪ হাজার প্রান্তিক পান চাষী রয়েছে। এই পান চাষ মহেশখালীর বিশাল একটি অংশের একমাত্র আয়ের অর্থকারী ফসল।
তিনি বলেন, “মহেশখালীর মিষ্টি ও মিঠা পান জগৎ সেরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে রপ্তানী করে মহেশখালী পান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। কিন্তু বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারী তে দেশে লকডাউন হওয়ার কারনে, মহেশখালীর পান চাষিরা পান বিক্রি করতে না পারার কারনে এই গণমানুষের অর্থকারী ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষের অশনিসংকেত দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাজার লাখ লাখ টাকার পান দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই সস্তা হওয়াতে লাভ হবেনা, অন্তত পেট রক্ষা হবে।”
এমন অবস্থায় সরকার বাহাদুর, মাননীয় এমপি মহোদয়, মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে পান চাষী পরিবারের পক্ষে তিনি আকুল আবেদন করেন।”
তার মতে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন, স্থায়ীভাবে পান ব্যবসায়ীদের বন্ধ হাটবাজার স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দুরুত্ব বজায় রেখে উম্মুক্ত করতে বিকল্পপদ্ধতি ব্যবহারের। তাহলে পান শিল্প রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবে ৫৪ হাজার পান চাষি ও পরিবার।
তাঁহার পরামর্শ :
বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সকল আড়তধারদের সমন্বয় করে ব্যবসায়ীদের যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে দূরত্ব বজায় রেখে পান বিক্রি করা যায়। এই মহৎ উদ্যোগটি গ্রহন করিলে ৫৪ হাজার পান চাষি দুর্ভিক্ষে থেকে রেহায় পাবে। পাশাপাশি ৫৪ হাজার পান চাষি কে ধৈর্য ধরার জন্য এবং সরকারী আইন মেনে দুরুত্ব থাকার অনুরোধ করেছেন।
ভয়েস/ জেইউ।