শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
করোনার প্রভাবে ২২ দিন বন্ধের পর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে একটি আদার ট্রলার এসেছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রলারটি ঘাটে আসে। এর আগে গত ২৫ জুন মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দরে কয়েকজন মাঝির দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়। মূলত মিয়ানমারের মংডু ও আকিয়াব এই দুই জায়গা থেকেই পণ্যের চালান আসে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২২ দিন পর মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে একটি পণ্যবোঝাই ট্রলার এসেছে। ব্যবসায়ীরা কাগজ জমা দিলে রবিবার (১৯ জুলাই) রাজস্ব প্রদান করে আমদানিকৃত পণ্য খালাস ও সরবরাহ করা হবে। দীর্ঘ বিরতির পর বন্দরের জেটিতে পণ্য আসায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে।
আমদানিকারক আবু ছালেক জানান, দীর্ঘদিন পর মিয়ানমার থেকে ১২০ টন আদা ট্রলারে এসেছে। কোরবানির সময়ে বিশেষ করে আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হয়। কিন্তু করোনার প্রভাবে সবকিছু থমকে আছে। মিয়ানমারে কিনে রাখা শত শত টন আদা আকিয়াব বন্দরে রয়েছে। এগুলো আনা যাচ্ছিল না। ফলে অনেক ব্যবসায়ীর আদা পচে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সেখানে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কারণে বন্দর লকডাউন ছিল।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন জানান, মিয়ানমারের বন্দরে করোনা রোগী শনাক্তের কারণে অনেক দিন বন্ধের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আদা বোঝাই একটি ট্রলার এসেছে।
প্রসঙ্গত, টেকনাফই হলো মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রফতানির একমাত্র স্থলবন্দর। টেকনাফ স্থলবন্দর হলেও মূলত নদীপথ ব্যবহার করেই এই পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়। এটি মূলত আমদানিনির্ভর স্থলবন্দর। মিয়ানমার থেকে কাঠ, চাল, মাছ, শুঁটকি, আদা, হলুদ, আচার, তেঁতুল, চকোলেট, মসলা, মৌসুমি ফল আমদানি করা হয়। আর বাংলাদেশ থেকে বেশি যায় প্লাস্টিক পণ্য। এছাড়া সীমিত পরিসরে তৈরি পোশাক, সিমেন্ট ও ওষুধ রফতানি হয়। সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
ভয়েস/আআ