শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের দুই পাশের কাঁটাতারের ব্যারিকেড ও পাহারা সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশি পাহারা সরিয়ে নেওয়া হলেও মামলা ও গ্রেপ্তারের আতঙ্কে নেতাকর্মীদের কার্যালয়মুখী হতে দেখা যায়নি। এমনকি তালাও খোলা হয়নি। কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা প্রহরীকেও দেখা যায়নি।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সারিবদ্ধভাবে পুলিশ সদস্যরা পাহারায় থাকতেন। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কার্যালয়ের সামনে স্টিকার দিয়ে ঘেরা করে তদন্ত চালায়। ওই সময় পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ‘ক্রাইম সিন’ লিখে বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখার অর্থ হচ্ছে, ওই বেষ্টনী পেরিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে কেউ প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। অপরাধ তদন্তের জন্য সেখান থেকে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করছে। পুলিশের তদন্ত কাজের এ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয় কার্যত বন্ধ থাকবে।
এর দুইদিন পর কার্যালয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়েও সাধারণ মানুষজনের চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পথচারীদের পুলিশ রাস্তার পাশ দিয়ে ঘুরে যেতে বলতো। মামলা ও গ্রেপ্তারের আতঙ্কে তখন থেকেই কোনো নেতাকর্মীই কার্যালয়মুখী হননি। সাধারণ মানুষদেরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভিড় করতে দেয়নি ওই এলাকায়। এমনকি ফুটপাত দিয়েও চলাচলে বাধা দেওয়া হয়েছে এতদিন। তবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে পুলিশ পাহারা সরিয়ে নিলে ফুটপাত দিয়ে চলাচল উন্মুক্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার গভীর রাতে কাঁটাতারের ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। ওইসব ব্যারিকেড এখন মতিঝিল মডেল থানার কাছে রাখা হয়েছে। পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে কার্যালয়ের সামনে পুলিশি পাহারা দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা কার্যালয়ের লাগোয়া ভিক্টোরিয়া হোটেলের পাশে অবস্থান নিয়েছেন।
কার্যালয়ের সামনে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ওপরে নির্দেশে কার্যালয়ের সামনে পাহারা রাখছি না। তবে আগের মতো কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে পুলিশ।
এদিন সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধ আহতের দেখার পর সাংবাদিক কাছে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, বিএনপির কার্যালয়ে তারা নিজেরাই তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। সেখানে সারা বছর পুলিশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। আমরা তারই ধারাবাহিকতায় সেখানে পুলিশের পাহারা রেখেছি।
তিনি বলেন, বিএনপি চাইলে তাদের কার্যালয়ে সব ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারবে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, নয়াপল্টনে প্রধান কার্যালয়ের গেটের বাইরে থেকে তালা দেওয়া রয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরীর টেবিলটা পড়ে রয়েছে আড়াআড়িভাবে। যতদূর দেখা যায়, তাতে ময়লা আর ধুলোর স্তূপ দেখা যায়। লিফলেট, পোস্টারের ছেড়া অংশ, পানির খালি বোতল ছাড়াও উল্টে রয়েছে দুটি প্লাস্টিকের চেয়ার। আলো না থাকায় কার্যালয়ের ভেতরে এখন ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।
ভয়েস/জেইউ।