সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির ৬ বিষয়ের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত হয়নি এখনও

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির ৬টি বিষয়ের বইয়ের পাণ্ডুলিপি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ২ দফা সময়সীমা বেঁধে দিয়েও বই ছাপানো শেষ করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানোরও অভিযোগ উঠেছে ।দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে অক্টোবরের মধ্যে বই ছাপানো শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এনসিটিবি। সেটি করতে না পেরে নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এর মধ্যেও ছাপানো হয়নি বই।

প্রাথমিক পর্যায়ের বই ছাপানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। কিন্তু মাধ্যমিকের বই ছাপানো হচ্ছে ধীরগতিতে। ৮ম এবং ৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান বইয়ের পাণ্ডুলিপিই চূড়ান্ত হয়নি এখনও। অন্যদিকে ৯ম শ্রেণির ৭০ ভাগ বই ছাপানো বাকি। ৮ম শ্রেণির অবস্থাও একই।

এই অবস্থায় কোনোভাবেই ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মুদ্রণ মালিক সমিতি। তারা বলছে, এনসিটিবির মনিটরিং এজেন্টরা অনেক ছাপাখানার সঙ্গে যোগসাজশ করে নিম্নমানের কাগজের বই ছাড় দিচ্ছে।

মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, পাণ্ডুলিপির কিছু বই একবার ছেপে আবার বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এখনো সংশোধন, পরিমার্জন চলছে। আর শতভাগ বইয়ের কথা যদি বলেন, সেটি যাচ্ছে না। সবচেয়ে নিম্নমানের খারাপ বই যাচ্ছে। এই কাগজগুলো ছাত্রদের দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার জন্য উপযোগী নয়।

তোফায়েল খান আরও বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকবার অভিযোগও দিয়েছি। এই মনিটরিং এজেন্টদের দুর্নীতির কারণে এবার একদম নিম্নমানের কাগজে বই যাচ্ছে। এরকম মানের বই এর আগে কখনো যায়নি।’

এনিসিটিবির দাবি, শিগগিরই পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত হবে। ছাপাখানার যে সক্ষমতা তাতে ডিসেম্বরের মধ্যে বই ছাপানো শেষ হবে। নিম্নমানের কাগজের সঙ্গে জড়িত মনিটরিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ আমার কাছেও আছে। আমরা অভিযোগ পেলেই পুরোপুরিভাবে দেখি। ইতোমধ্যে আমরাও কিন্তু অনেকগুলো মান নিয়ন্ত্রণ এজেন্টকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি এবং অনেক জায়গা থেকে কাগজ প্রত্যাহার করেছি।’

এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘৮ম এবং ৯ম শ্রেণির বইয়ে কাজ যারা পেয়েছে, তাদের হাতে আর কোনো কাজ নেই। এই প্রেসের সক্ষমতাও অনেক। তাই একটু দেরি হলেও এসব প্রেসের বই ছাপাতে বেশি সময় লাগবে না।’

এবার ৩ কোটি ৮৭ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩১ কোটি নতুন বই ছাপাচ্ছে সরকার।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION