শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মিয়ানমারের শান রাজ্যে বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বিদ্রোহীদের দখলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বাহিনীর কাছ থেকে শান রাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র নিজেদের দখলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যোদ্ধারা। কয়েকদিন আগে অস্থায়ী এক যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার ঘোষণা দেয় চীন, তারপরই শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ওই ঘোষণা দিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবরের শেষের দিক থেকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলজুড়ে লড়াই করে যাচ্ছে আরাকান আর্মি (এএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই তিনটি গ্রুপের জোটকে বলা হয়- ‘থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্স’।
আরও পড়ুন
মিয়ানমারে জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সংঘাতে ২০ লাখ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

তারা বলেছে, শান রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থান দখলে নিয়েছে এবং বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এমন একটি স্থান তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর এটাই মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে বৃহস্পতিবার এই জোট এবং মিয়ানমারের সেনাদের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় বেইজিং। তারপর থেকে এমএনডিএএ-এর দখলে থাকা এলাকাগুলো বেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু টিএনএলএ এবং এএ-এর দখলে থাকা এলাকাগুলোতে অব্যাহতভাবে লড়াই চলছিল।

এর মধ্যে টিএনএলএ বলেছে, দুই সপ্তাহ আগে ওই এলাকায় হামলার পর শুক্রবার ন্যামহসান এলাকা দখল করেছে তারা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ভোনে কাইওয়া বলেন, আমরা শহরটি দখলে নিয়েছি। টিএনএলএ ফেসবুকে যে ভিডিও পোস্ট করেছে তাতে দেখা যায়, গ্রুপটির নেতারা ওই শহর ভ্রমণ করছেন। সামরিক জান্তার যেসব সেনা সদস্যকে বন্দি হিসেবে আটক করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন।

ওদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জো মিন তুন রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল এমআরটিভিতে শুক্রবার বলেন, নামহসানের চারপাশে লড়াই চলছিল। তার ভোনে কাইওয়ার মতে, ১০৫-মাইল ট্রেড জোনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এটি হলো চীনের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের একটি বড় পয়েন্ট।

বিদ্রোহীদের জোট বলেছে, ২৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ৪২২ চেকপোস্ট দখল করেছে তারা। নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সাতটি শহর। তাদের এই সফলতা দেখে জান্তাবিরোধী অন্যরাও উদ্দীপ্ত হচ্ছেন। তারা দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমে লড়াই শুরু করেছেন। জাতিসংঘের হিসাবে কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION